মিটার টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ বিল কমান তিনি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৫ মার্চ, ২০২১ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

মো. আছাব (৩৫)। বিদ্যুৎ ওয়ারিংয়ের কাজ করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে চুক্তিতে করতেন পিডিবির মিটার টেম্পারিং। ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহকের পুরনো মিটার টেম্পারিং করে বিল কমিয়ে সরকারি রাজস্বের ক্ষতিসাধন করেছেন। নগরীর চান্দগাঁও এলাকার একজন গ্রাহকের মিটার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমে পিডিবির কর্মকর্তারা সন্ধান পান আছাবের। তিনি একেকটি বিদ্যুৎ মিটার টেম্পারিংয়ের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা নিতেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফাঁদে ফেলে পিডিবি কালুরঘাট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস ইবনে আলম অন্য প্রকৌশলীদের নিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটকের সময় তিনি বাড়ইপাড়া বজল সওদাগরের বাড়ির ইসকান্দর নামের এক গ্রাহকের মিটার টেম্পারিং করছিলেন।
আটক আছাব কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন রামপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি নগরীর বাকলিয়া থানাধীন তুলাতলী এলাকায় বসবাস করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক আছাব পিডিবি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তিনি ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের মিটার টেম্পারিং করতেন।
এ ব্যাপারে পিডিবি কালুরঘাট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস ইবনে আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, কয়েক মাস আগে চান্দগাঁও এলাকার একজন গ্রাহকের মিটার টেম্পারিং অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি তদন্ত করতে পিডিবির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্তে নেমে নিশ্চিত হয় মিটারটি টেম্পারিং হয়েছে। এসময় গ্রাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি আছাবের কথা স্বীকার করেন। এসময় ওই গ্রাহকের মাধ্যমে টোপ দেওয়া হয় আছাবকে। তিনি ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রাহক ইস্কান্দরের মিটারও টেম্পারিং করার জন্য প্রস্তুত হয়। কথা মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটারটি খোলার পর তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তিনি বলেন, পিডিবির মিটার টেম্পারিং করে আসছে একটি চক্র। চক্রটি বিভিন্ন সময়ে লাইনম্যানের কাজ করে কিংবা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগের ত্রুটি সারানোর কাজ করে। সুযোগ পেলে গ্রাহকদের সাথে চুক্তিতে মিটার টেম্পারিং করে। মিটার টেম্পারিংয়ের কারণে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান হয়। তাই আমরা দ্রুত এই প্রতারককে হাতেনাতে ধরার কৌশল গ্রহণ করি। বৃহস্পতিবার সফল হয়েছি।
এ ব্যাপারে চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পিডিবির কর্মকর্তারা একজন মিটার টেম্পারকারীকে ধরে থানায় এনেছেন। পিডিবির কর্মকর্তারাও থানায় আছেন। এখন মামলার প্র্রস্তুতি চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গা সৈকতে পরিচ্ছন অভিযান
পরবর্তী নিবন্ধদুর্গম অরণ্যে ধনেশের সন্ধান