প্রসবের সময় মা হারানো একদিন বয়সী সেই হাতির শাবকটির স্থান হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। টেকনাফ বনবিভাগ কর্তৃক উদ্ধারের পর হাতি শাবকটিকে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পার্কে হস্তান্তর করা হয়। এরপর পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন শেডে রেখে শাবকটিকে তরল দুধ (ল্যাকটোজেন–১) দেওয়া হচ্ছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্কে প্রেরিত হাতি শাবকটি নিয়মিত দুধ খাচ্ছে। শারীরিকভাবে শাবকটি সুস্থ রয়েছে। পার্কের হাতি মাহুত সুশীল চাকমা নিয়মিত হাতি শাবকটির পরিচর্যায় নিয়োজিত রয়েছেন। আর শাবকটির সার্বিক অবস্থা দেখভাল করছেন পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসক (ভেটেরিনারি সার্জন) হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইন। বন্য প্রাণী চিকিৎসক জানান, হাতি শাবকটি পুরুষ লিঙ্গের। শাবকটির ওজন প্রায় ১১৫ কেজি। নিয়ম করে শাবকটিকে দুধ দেওয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রসবের পরপরই মা হারানো শাবকটিকে যত্ন–আত্তির মাধ্যমে বড় করে তোলা হবে। কয়েকবছর আগেও আরেক মা হারা হাতি শাবককে সাফারি পার্কে প্রেরণ করা হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করে তোলা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘যমুনা’। সেই যমুনার মতো করেই এই হাতি শাবকটিকেও আপন করে নেওয়া হয়েছে এবং নিয়মিত পরিচর্যা করা হচ্ছে। এদিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের টেকনাফের হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মিনার চৌধুরী জানান, গত রোববার বিকেলে হোয়াইক্যং রেঞ্জের হরিখোলার বুড়াবুনিয়া গহীন পাহাড় থেকে হাতির শাবকটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর আসে যে, গহীন পাহাড়ে শাবকটি প্রসব করার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মা হাতিটির মৃত্যু হয়। পরে বনবিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সদ্যজাত হাতি শাবকটিকে উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর মৃত হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। আর উদ্ধারকৃত শাবকটিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রেরণ করা হয়।