মা, বড় আশ্রয়

বিশ্ব মা দিবস আজ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১১ মে, ২০২৫ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

মা’ এক অক্ষরের একটি শব্দ। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক এটি। ছোট্ট এ শব্দের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গভীর স্নেহ, মমতা, অকৃত্রিম দরদ ও ভালোবাসা। মা শব্দটার ভেতরেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আশ্রয়, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। মাসন্তানের সম্পর্ক হলো এমন একটি বন্ধন, যা সময় বা দূরত্বে কখনোই দুর্বল হয় না। মায়ের ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। একজন সন্তানের জীবনে সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ হলো একজন মমতাময়ী মা। একজন মা অন্য সবার স্থান নিতে পারেন, কিন্তু মায়ের স্থান কেউই নিতে পারে না।

আজ রোববার বিশ্ব মা দিবস। মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস পালন করা হয়। ‘মা জননী চোখের মণি, অসীম তোমার দান/ খোদার পরে মায়ের আসন আসমানের সমান/ ত্রিভুবনে তোমার মত হয় না কারো মান।’ মাকে নিয়ে এমন কবিতা রয়েছে অনেক। মাকে নিয়ে সকল সন্তানের অনুভূতিও এমন। বলা হয়, দুনিয়ার সবকিছু বদলাতে পারে, কিন্তু সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা কখনো বদলায় না।

জানা গেছে, ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মা দিবস পালন করা হয়। আমেরিকার স্কুল শিক্ষিকা আনা জার্ভিস মাকে ভালোবেসে এই দিবসের প্রচলন শুরু করেন। ১৯০৫ সালে তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মৃত্যুর পর এ নিয়ে তিনি আরো বেশি প্রচারণা চালান। মাকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই বিশেষ দিনটি প্রচলন শুরু করে জার্ভিস।

এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাকে নিয়ে নানা লেখালেখি হয়। মায়েদের ভালোবাসা জানিয়ে আবেগ প্রকাশ করেন। যদিও মাকে ভালোবাসতে কোনো দিবসের দরকার হয় না। অনেকের জন্য প্রতিদিনই মা দিবস। পৃথিবীতে আসার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে মা। মা ছাড়া কেউ পৃথিবীতে আসতে পারে না। পৃথিবীর সকল প্রাণীই তার মাকে বড্ড ভালোবাসে। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসাটা হয় নিখুঁত, নির্ভেজাল। সন্তানদের মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবাসে মা। সবাই ছেড়ে গেলেও মা তার সন্তানকে ছেড়ে যায় না। সকলের কাছে যে যত বিশ্রী কিংবা অদামী হোক, মায়ের কাছে তার সন্তান সব সময় সবার থেকে শ্রেষ্ঠ।

মায়ের ভালোবাসা হলো এমন এক ছায়া, যেখানে সন্তানের সব ব্যথা হারিয়ে যায়। কিন্তু কখনো কখনো আমরা সেই ছায়ার অস্তিত্ব এতটাই স্বাভাবিক ধরে নিই যে, তার মলিনতা চোখে পড়ে না। মাকে দেওয়া সেরা জিনিস হলো সময়। একদিন নয়, প্রতিদিন কিছুটা করে সময় রাখা দরকার মায়ের জন্য। দূরে থাকলে নিয়ম করে মাকে ফোন করা উচিত।

মাকে নিয়ে অনুভূতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, আমার কাছে মা সবচেয়ে কাছের বন্ধু। যত বড় হচ্ছি মাকে তত বেশি অনুভব করছি। দিন শেষে মায়ের কাছে ফিরে কষ্টগুলো প্রকাশ করি। যত বড় হচ্ছি মায়ের সাথে আনন্দ ভাগের চেষ্টা করছি।

মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে ফয়সাল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছোটবেলায় বাবা ছাড়া কিছুই বুঝতাম না, কিন্তু যেদিন থেকে গৃহত্যাগী হলাম সেদিন থেকে মার স্নেহমমতা টের পাওয়া শুরু করলাম। মার ‘বাবা’ ডাকটা আমার সব ব্যথা, ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে দেয়। মায়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসা একটি নির্দিষ্ট দিবসকে কেন্দ্র করে আবদ্ধ না থাকুক। প্রতিদিন হোক মা দিবস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
পরবর্তী নিবন্ধট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন হবে : আইন উপদেষ্টা