স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গতকাল শুক্রবার মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সম্প্রসারিত নবজাতক ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাচিপ কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ। প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেরই একজন ছাত্র। সুতরাং এই চট্টগ্রামের প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই হাসপাতালে আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে আমি একবার আসি প্রফেসর ফজলুল করিম স্যারের সাথে। স্যার ছিলেন এই হাসপাতালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তখন শিশু হাসপাতাল ছিল অত্যন্ত ছোট্ট পরিসরে। আজ সেই শিশু হাসপাতাল দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। এই হাসপাতালের এনআইসিইউ, শিশু আইসিইউ, এডাল্ট আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যান্সার বিভাগের চিকিৎসা সেবা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। অনেক সরকারি হাসপাতালেও এ ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা নাই। বেসরকারি পর্যায়ে মা ও শিশু হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমরা চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি এজন্য প্রতিনিয়ত দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন হলে মানুষকে চিকিৎসা সেবার জন্য ব্যাপক হারে আর শহরে আসতে হবেনা। আমাদেরকে চিকিৎসা সেবার গুণগত মান উন্নয়ন, দক্ষ ও মান সম্পন্ন ডাক্তার তৈরি করতে হবে। আমার বা সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, মা ও শিশু হাসপাতাল বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই হাসপাতালের চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার অনেক সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবায় মা ও শিশু হাসপাতাল অনেক এগিয়ে রয়েছে। এর আগে প্রধান অতিথি হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগ, এডাল্ট আইসিইউ, সিসিইউ, শিশু আইসিইউ ও বিশেষায়িত শিশু বিকাশ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের এসব বিশেষায়িত সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি মহাপরিচালককে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হুসাইন মোহাম্মদ মনিরুল আহসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. ইফতেখার আহমেদ, মন্ত্রীর পিএস (উপ–সচিব) কমল কুমার বিশ্বাস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ডা. আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস, চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মইনুল ইসলাম মাহমুদ, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, ডা. পারভেজ ইকবাল শরীফ, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মো. আজিজ নাজিমউদ্দিন, ট্রেজারার অধ্যক্ষ ড. লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, জয়েন্ট ট্রেজারার এস এম কুতুব উদ্দিন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাগির, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারী মো. আহসান উল্লাহ, ডোনার মেম্বার মো. শহীদ উল্লাহ, মেম্বার প্রফেসর ডা. কামরুন নেসা (রুনা), প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হোসেন শরীফ, মো. হারুন ইউসুফ, এ এস এম জাফর, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, হাসাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, প্রফেসর ডা. অলক নন্দী, ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. শেফাতুজ্জাহান, উপ–পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ–পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, উপ–পরিচালক (ফিন্যান্স) মনজুরুল আলম চৌধুরী, উপ–পরিচালক (প্রশাসন, আইসিএইচ) ডা. মো. আবু সৈয়দ চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক–শিক্ষিকা, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও নার্সিং কলেজের শিক্ষক–শিক্ষিকা, ডাক্তার, নার্স, ছাত্র–ছাত্রী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।