মা ইলিশ সংরক্ষণে সীতাকুণ্ড ও বাঁশখালীতে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বলেছেন,ইলিশ উৎপাদনে এশিয়া মহাদেশ প্রথম। ইলিশ আমাদের শুধু জাতীয় সম্পদই নয়, এটি বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। একটা মা ইলিশ প্রতি মৌসুমে একবারে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২৩ লাখ ডিম পাড়ে। নিষিদ্ধকালীন সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকলে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২দিন মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়–বিক্রয়, নিষিদ্ধ উপলক্ষে জনসচেতনতা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুন, নৌপুলিশের এডিশনাল এসপি তানভীর আহম্মেদ, কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা বেগম, কোষ্ট–গার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. ইসমাইল। বক্তব্য রাখেন উপেন্দ্র দাশ।
বাঁশখালী : বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘মা ইলিশ সংরক্ষনে ’ মতবিনিময় সভা গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ইলিশ প্রজনন মৌসুমে আগামীকাল ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২২ দিন ইলিশ আহরন বন্ধ উপলক্ষে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সালেক, ভেটেনারি সার্জন নাজমুল হক খান, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম কাউন্সিলর মো. আবদুল গফুর, ইউপি সদস্য আবদুল মাবুদ, মোস্তফা আলী, গাজী সিরাজুল মোস্তফা,সাইফুল ইসলাম,মো. শোয়াইব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি বলেন, মাছে ভাতে বাঙ্গালি যে প্রবাদ রয়েছে সেটা আমরা প্রমাণ করতে পারি মাছের উৎপাদন ও সংরক্ষনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।