মা সকল মানুষের কাছে প্রিয়। মায়ের কারণেই এ সুন্দর পৃথিবীতে আমরা জন্মলাভ করতে পেরেছি। শৈশব থেকে পরম যত্নে মা আমাকে লালন পালন করে বড় করে তোলেন। আমার মা আমাদের মঙ্গলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেন, যে কোনো কষ্ট মেনে নিতেন। আমার মা পরিমিত আয়ে খুব সুন্দরভাবে সংসার চালিয়ে নেন। শহর ও গ্রামের পরিবেশকে মা সমানভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। শৈশবে আমার মা মুখে মুখে অনেক ছড়া ও দোয়া শেখাতেন। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার অনেক কিছুই আমি মায়ের মুখ থেকে শিখেছি। তিনি আমাকে মুখে মুখে ও হাতে কলমে শেখাতেন। শৈশবে গ্রামে তখন বিদ্যুৎ ছিল না, আমাদের পাশে শুইয়ে তালপাতার হাতপাখার বাতাসে রাজা রাণী ও টোনাটুনির গল্প শোনাতেন। আমিও শুনতে শুনতে কল্পনার জগতে পৌঁছে যেতাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়তাম, তা বুঝতে পারতাম না। ছোট বেলায় আমার মনে জেগে উঠেছিল, আমার মায়ের মতো সুন্দর মানুষ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। মা–ই আমার ভুবন, মা–ই আমার স্বর্গ। আজো সেই বিশ্বাস আমার মনে বিরাজ করে। আমার মা সত্যিকার গৃহিণী। পরিবারই মায়ের প্রধান কর্মক্ষেত্র। রান্নাবান্না তদারকি আমার মা করে থাকেন। আত্মীয়স্বজন এলে তাদের আপ্যায়নে আমার মা থাকেন নিবেদিতা। সকলেই আমার মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রতিবেশীরা আমার মাকে খুব শ্রদ্ধা ভক্তি করে। আমার মা ছিলেন রন্ধনশিল্পী সৎ ও উদার মহিলা। মায়ের কাছ থেকে কেউ খালি মুখে যেতে দেখিনি। অবসরে খবরের কাগজ ও গল্পের বই পড়ার অভ্যাস ছিল মায়ের। আমার মা আমার কাছে স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। মা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠতম আদর্শ।