মায়ের সাথে যেতাম আমি স্কলাস্টিকা স্কুলে, রিকশায় চড়ে যেতাম আমি বসে মায়ের কোলে। বৃষ্টি আসলেই মা আচলে রাখতেন আমায় ঢেকে, ঋণ শোধ হবে না যে বার বার মা বলেও ডেকে। স্কুলের পাঠ ঘুচিয়ে যখনই যাই আমি কলেজে, স্বাধীনতা নেই যে আমার গেল ভেজাল লেগে। ছেলেরা গেইটে ফুলচিঠি হাতে থাকতো দাঁড়িয়ে, কড়া চোখের চাহুনিতে মা আমার দিতেন তাড়িয়ে। আমার বিয়ে হল যেদিন মায়ের সে কি কান্না, মনে মনে বলছিলেন মা লিমা তুই যাসনা। যেদিন প্রথম হলাম মা, শুনে তুলতুলের কান্না, অনুভব করতে পেরেছি আসলে যে কি – এই – মা।
তুলতুল যেমন আমার সন্তান ঠিক যেমন আমি আমার মায়ের, নানী চরিত্রে ও একইরকম তুলনা নেই যার। যখন জানলেন মা— তুলতুল আমার অটিজম, কষ্ট পেলেন আর ও জেনে সে কথা বলতেই অক্ষম। তুলতুল যেদিন চলে গেল হাসপাতাল মা ও শিশুতে, মৃত তুলতুল কোলে আমার– বেহুশ মা আমার মাটিতে। মা আমার কাটিয়ে দিলেন সারাজীবন করে যুদ্ধ, কবে আসবে এমনদিন – হবো তার হাসিতে আমি মুগ্ধ।