পৃথিবী দর্শনের প্রথম প্রহরেই ভূমিষ্টের মাহেন্দ্রক্ষণে; তোমার সুললিত ক্রন্দিত চিৎকারে মুখরিত আলোকিত চারপাশ, তোমার কাঁদো কাঁদো স্বরে সুরের ছন্দ তোলে যে মায়ের মনের গহীনে, ছড়িয়েছো আলো এবং তাঁর স্বপ্নের ছায়া, সীমানা ছাড়িয়ে ডানা মেলেছে দূরে বহুদূরে, অনন্য সুখে, আনন্দের নোনাজল, দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে। একদিন তোমার সুকৃতি সৌরভে সুরভিত হবে দেশ-কাল। বেড়ে ওঠো তুমি ক্রমেই বেড়ে ওঠছো যৌবনের সুবর্ণ রেখায় মায়ের স্বপ্নের সোনালী অনুভবে সুন্দরতম অবয়বে ছিলে তুমি, সহসা একদিন ধর্ষকের ছায়াতলে তোমাকে দেখে; আতঙ্কে শঙ্কিত আমি, একি আমারই সন্তান! বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলায় দিন কাটে রাত কাটে আমার, যার আগমনী আরাধনায় কেটেছে আমার, কতো দিন কতো রাত, ভেঙ্গে পড়ে স্বপ্নসৌধ, ভেঙ্গে যায় আশা, বলো কে চায় ধর্ষকের মা হতে? মায়ের সম মায়ের সম্ভ্রম, বোনের সম বোনের বসন খসা’ও মেতে ওঠো ধর্ষণে অভিশাপ তোমায়। তোমার জন্মের সেইদিনে, তীব্র প্রসব বেদনা এতটুকু কাতর করেনি আমায় যতটুকু সকাতর, লজ্জায় অবনত হয়েছি আমি; তোমাকে ধর্ষকের কাতারে দেখে, ধর্ষকের ধর্ষণে ক্ষত-বিক্ষত আমি, পদতলে পিষ্ট আমার স্বদেশ। দোহাই তোমার এখানেই থামো- তোমরা এখানেই থামো। মায়ের কষ্টের সীমানা আর বিস্তৃত করো না।