মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | রবিবার , ৩১ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

আজ বিশ রমজান। কোনো রোজাদার মুসলমানের ইতিকাফ করার ইচ্ছে হলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বে মসজিদে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে এবং ঈদের চাঁদ দেখা পর্যন্ত তাকে মসজিদেই থাকতে হবে। রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নাতে মোয়াক্বাদায়ে কেফায়াহ। মহল্লার একজন ইতিকাফ করলেও সকলের পক্ষ হতে আদায় হয়ে যাবে। যদি কেউ ইতিকাফ না করে সকলেই গুণাহগার হবে। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) রমজান মাসের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন। যেকোনো মসজিদে পুরুষেরা ইতিকাফ করবে। মহিলারা গৃহে ইবাদতের স্থান তৈরি করে ইতিকাফ করবে।

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি অথবা মুসাফির রোজা না রেখে এই দশ দিন ইতিকাফ করলে সুন্নাতে মোয়াক্বাদাহ আদায় হবে না, বরং নফলের সওয়াব পাবে। ইতিকাফকারীর পায়খানা, প্রস্রাব, অজু ও গোসলের সময় ব্যতীত মসজিদ থেকে বের হওয়া নিষেধ। প্রয়োজনের সময় বের হলে কারো সাথে কথা বলতে পারবে না। কাজ সমাধা করে তাড়াতাড়ি মসজিদে ঢুকতে হবে। বিনা কারণে এক মিনিট মসজিদের বাইরে থাকলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। ইতিকাফ অবস্থায় কারো সাথে অপ্রয়োজনীয় গল্পালাপ করা যাবে না। আবার ইতিকাফের নিয়তে চুপ করে থাকাও মাকরূহ। ইতিকাফ অবস্থায় কোরআন শরীফ তেলাওয়াত, দোয়াদরূদ, এস্তেগফার, তসবিহ, তাহলিল, নফল ইবাদত, মোরাকাবা ইত্যাদিতে নিয়োজিত থাকা উচিত। ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে খাওয়া দাওয়া করবে। বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। দুই ঘণ্টার জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা যায় এবং সওয়াবের কাজ। কিন্তু সুন্নাতে মোয়াক্বাদায়ে কিফায়াহ আদায় হবে না।

বিভিন্ন হাদিসে রমজান মাসের একুশ, তেইশ, পঁচিশ, সাতাশ ও ঊনত্রিশ তারিখের যেকোনো এক রাত্রি শবে কদর হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তাই এ বিশেষ রাতগুলোতে ইতিকাফকারীগণ মনোযোগ সহকারে ইবাদত করা উচিত।

উম্মুল মোমেনিন হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রা.) বলেছেন, ইতিকাফকারীর পক্ষে এই নিয়ত পালন করা আবশ্যক ১. সে যেন কোনো পীড়িতকে দেখতে না যায়, . কোনো জানাজায় উপস্থিত না হয়, . স্ত্রী সহবাস না করে, . স্ত্রীর সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি না করে, . কোনো প্রয়োজন ব্যতীত ইতিকাফের স্থান থেকে বের না হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে ৫১ শতাংশ
পরবর্তী নিবন্ধচাক্তাইসহ কয়েকটি খাল পুনরায় খনন হচ্ছে