বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে যেন একটাই জবাব। তা হচ্ছে কেবলই আক্ষেপ। কখনো রানের আক্ষেপ, কখনো উইকেটের আক্ষেপ। কখনো ক্যাচ ফেলার আক্ষেপ। এবার যেমন বললেন আর ১০ রানের আক্ষেপের কথা। ম্যাচের আগে মাহমুদউল্লাহর চোখ ছিল ১৬০ রানে। ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত সেই স্কোরের দেখা পায় দল। কিন্তু জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি তা। ম্যাচের পর পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, প্রয়োজন ছিল আরও ১০টি রান। পাশাপাশি তিনি আফসোস করলেন নিকোলাস পুরানকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায়।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ তুলে ধরলেন, ব্যাটে-বলে কোথায় ঘাটতি ছিল তার দলের। ম্যাচের আগে ১৬৩ বললে হয়তো নিয়ে নিতাম। তবে সম্ভবত ১০ রানের ঘাটতি ছিল আমাদের। ১৭০ রানের বেশি করতে পারলে ভালো হতো। লিটন ভালো ব্যাট করেছে, আফিফ দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। বোলিংয়েও শুরুতে আমরা ভালো করেছি। তবে ওদের দুই ব্যাটসম্যান সত্যিই ভালো খেলেছে। বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আছে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বললে, আমাদের ব্যাটিং পরিকল্পনা বেশ পরিষ্কার ছিল এবং দুই ওপেনার ভালো শুরু করেছে। বোলিংয়ে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, প্রয়োজনের সময় কীভাবে উইকেট নিতে পারি এবং সুযোগগুলো নিতে পারি। পুরানকে আউট করে মেয়ার্সের সঙ্গে জুটি ভাঙার দুটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পুরানের ১৭ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে স্টাম্পিং করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। ২৮ রানে নিজের বলে ফিল্ডিং করে রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শরিফুল ইসলাম।
সোহানের সুযোগটি অবশ্য ছিল বেশ কঠিন। তবে শরিফুলেরটি ছিল অনেক সহজ। দ্রুত রান নেওয়ার চেষ্টায় পুরান চলে এসেছিলেন মাঝ উইকেটে। অনেক সময় ছিল শরিফুলের। কিন্তু সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্পে লাগাতে পারেননি তিনি। বল ধরে লাগানোর জন্য স্টাম্পের পেছনে ছিল না কোনো ফিল্ডার। সেই সুযোগ হারানোর আক্ষেপ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিলেন মাহমুদউল্লাহ। সুযোগ এসেছিল আমাদের জন্য। রান আউটের ওই সুযোগটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে এটাও বলতে হবে, কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরান দারুণ ব্যাটিং করেছে এবং ওদের জুটিই ম্যাচটি আমাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেছে। শুরুতে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। পাওয়ার প্লেতে তিনটি উইকেট নিয়েছে। ওদের জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে গেছে।