মাস্টার প্ল্যানে যুক্ত হচ্ছেন সিঙ্গাপুরের নাইট সাফারির প্রবক্তা

জঙ্গল সলিমপুর সাফারি পার্ক ।। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসছে জোড়া সিংহ, আট ওয়াইল্ড বিস্টসহ ছয়টা ম্যাকাও পাখি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

সিঙ্গাপুরের নাইট সাফারি পার্কের আদলে জঙ্গল সলিমপুরে ৪০ একর জায়গাজুড়ে নাইট সাফারি পার্ক গড়ে তুলতে গ্রহণ করা হয়েছে মাস্টার প্ল্যান। আর এ কাজে যুক্ত হতে বিশ্বের প্রথম নাইট সাফারি পার্কের প্রবক্তা বার্নার্ড হ্যারিসন আসছেন চট্টগ্রাম। তাকে যুক্ত করে মাস্টার প্ল্যানের কাজটি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে মমিনুর রহমান জানান, বার্নার্ড হ্যারিসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান কার্যক্রমটি সিডিএ বাস্তবায়ন করবে। আর নাইট সাফারি বা জো যেটি হবে সেটির বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।

জেলা প্রশাসক বলেন, এখানে ১৬টি বাঘ রয়েছে। সবগুলোই চট্টগ্রামে জন্ম নিয়েছে। শুধু বাঘ নয়, কুমির, সাপ থেকে শুরু করে বিরল প্রাণীও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে। ইউরোপ, সাউথ আফ্রিকা থেকে ক্যাঙ্গারু সংগ্রহ করা হয়েছে, এ তালিকায় মেকাও পাখি, সিংহসহ বিভিন্ন প্রাণীও রয়েছে। নতুন করে এক জোড়া সিংহ, আটটি ওয়াইল্ড বিস্ট, ছয়টা মেকাও পাখি আসছে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে। এসব প্রাণীকে উপযুক্ত পরিবেশে রাখার জন্য বা স্থান সংকুলানের জন্য আমরা নতুন করে বাঘের খাঁচা তৈরি করছি। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে তারা যাতে বিচরণ করতে পারে সেজন্য মহাপরিকল্পনা রয়েছে।

এটির নির্মাণ কাজ আজকে (গতকাল) থেকে শুরু হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার চেহারা পাল্টে যাবে। বৈশ্বিক মানের চিড়িয়াখানায় পরিণত হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও প্রাণী সমৃদ্ধ চিড়িয়াখানা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ড থানাধীন জঙ্গল সলিমপুরে গড়ে উঠতে যাওয়া নাইট সাফারি পার্কটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্ক।

সিঙ্গাপুরের মান্দাইতে অবস্থিত বিশ্বের প্রথম নিশাচর নাইট সাফারি পার্কের আদলে ৪০ একর জায়গাজুড়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি গড়ে তোলা হবে। সিঙ্গাপুরের সাফারি পার্কটি তাদের রিভার ওয়ান্ডার্স, সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা এবং জুরং বার্ড পার্কসহ মান্দাই বন্যপ্রণী সংরক্ষণের অংশ। জেলা প্রশাসন ওই সিস্টেমকে অনুসরণ করবে। জঙ্গল সলিমপুরে যে নাইট সাফারি পার্কটি গড়ে তোলা হবে তা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার অংশ হয়েই থাকবে।

জেলা প্রশাসকের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল, এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২২০০ কোটি টাকায় সৌদি ক্লাবে রোনালদো
পরবর্তী নিবন্ধ‘যেকোনো মূল্যে’ ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সফল করতে চান ফখরুল