মাস্টার্স টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখলো চিটাগাং মাস্টার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ৪ জুন, ২০২৩ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স ও স্কোরার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ইস্পাহানী মাস্টার্স টিটোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শিরোপা অক্ষুণ্ন রেখেছে চিটাগাং মাস্টার্স। গতবছরও তারা এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গতকাল শনিবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় চিটাগাং মাস্টার্স ৭ উইকেটে আগ্রাবাদ মাস্টার্সকে পরাজিত করে। অনেকটা একতরফা খেলেই চিটাগাং মাস্টার্স শিরোপা ধরে রাখে। মাঠে হেলিকপ্টার নামার কারণে একটু দেরিতে শুরু হওয়া ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে চিটাগাং মাস্টার্স প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় আগ্রাবাদ মাস্টার্সকে। আগের দিন সেমিফাইনাল ম্যাচের দুই সফল ওপেনার ফারুখ টিটু এবং আবদুল্লাহ আল মামুন এদিনও আগ্রাবাদের পক্ষে ওপেন করতে নামেন। সেমিফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান ফারুক টিটু ফাইনালেও চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শুরুতেই জীবন পান তিনি। মোহাম্মদ রাশেদের বলে তার ক্যাচ ফেলে দেন আজিম উদ্দিন। এরপর বেশ দেখেশুনে খেলে এ দুজন উদ্বোধনী জুটিতে ৮৭ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। আবদুল্লাহ আল মামুন ৩২ বলে ৩২ রান করে রান আউটের শিকার হন। ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা মারেন মামুন। কিছু পরে ফারুখ টিটুও বিদায় নেন দলীয় ৯০ রানের মাথায়। টিটু ৪২ বলে ৪৮ রান করেন ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে। এ দুজনের পর আর কেউই উল্লেখ করার মতো রান করতে পারেননি। মাঝে সাইফুর রহমান ১৩ রান করেন। বাকিদের কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি দ্বিঅংকের ঘরে পৌঁছানো। অতিরিক্ত থেকে আসে ১১। ১৯.৫ ওভার খেলে আগ্রাবাদ মাস্টার্স ১২৯ রানে অল আউট হয়।

চিটাগাং মাস্টার্সের পক্ষে আজিম উদ্দিন ২৬ রান দিয়ে এবং মাহতাবউদ্দিন ১১ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট দখল করেন। কায়সার পারভেজ চৌধুরী ২৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট পান।

কোন উইকেট না পেলেও স্পিনার পিপলু দে আগ্রাবাদ মাস্টার্সের ব্যাটারদের উপর বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান খরচ করেন তিনি। ১৩০ রানের লক্ষ্য খুব বেশি কিছু ছিল না চিটাগাং মাস্টার্সের জন্য। ব্যাট করতে নেমে তারই প্রমাণ দিয়েছেন তারা। ১৭.৫ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে খুব সহজেই তারা জয় তুলে নেয়। কায়সার পারভেজ এবং আশফাক অপুর ওপেনিং জুটি ২১ রানে ভেঙ্গে গেলেও পরবর্তী ব্যাটাররা বেশ আস্থার পরিচয় দেন। আগ্রাবাদ মাস্টার্সের বোলাররাও খুব আধিপত্য বিস্তার করতে পারেননি তাদের উপর। কায়সার ৭ এবং আশফাক অপু ১৭ করে আউট হয়ে যান। পরবর্তীতে একরামুল হক ২৫ বল খেলে ৩১ রান করেন। ৪টি চার হাঁকান তিনি। একরাম আউট হওয়ার পর শাবিবুল আজম এবং নাজমুল ওয়াহাব চৌধুরী ম্যাচ শেষ করে আসেন। এ জুটি দলীয় রান সংখ্যা ১০২ থেকে ১৩০ এ নিয়ে যান। শাবিবুল ৪৭ বল খেলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি বাউন্ডারী হাঁকান। নাজমুল ওয়াহাব চৌধুরী ৬ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত থেকে জমা হয় ২১ রান। আগ্রাবাদ মাস্টার্সের পক্ষে মশিউর রহমান ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান আদনান তালুকদার ১৮ রান দিয়ে। অপরাজিত ৪৭ রান এবং ২টি রান আউট শাবিবুল আজমের হাতে ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কার এনে দেয়। এদিকে পুরো টুর্নামেন্টে একমাত্র শতক ও সর্বোচ্চ ২২৪ রান নিয়ে সেরা ব্যাটার নির্বাচিত হন আগ্রাবাদ মাস্টার্সের ফারুখ টিটু। বল হাতে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলারের পুরস্কার পান চিটাগাং মাস্টার্সের বোলার আজিম উদ্দিন।

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরউদ্দীন। এই সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশেকুল্লাহ্‌ রফিক এমপি, স্পন্সর ইস্পাহানি গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার মাহবুবুল আলম, জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুল এনাম ও আনিসুজ্জামান, সিনিয়র ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস সহ সভাপতি এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল ও মো. হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও মশিউর রহমান চৌধুরী, আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান আকবর প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুপার ফোরে পাথরঘাটা দূর্বার গোষ্ঠী
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেন পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত: জেলেনস্কি