বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির টাকা লুটের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা বুলেট, ধারালো ছুরি, লোহা কাটার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লামা পৌরসভার সিলেটি পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ৯ মে ভোররাতে দেশীয় অস্ত্রধারী ১৫–২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল লামা উপজেলার লাইনঝিরি এলাকায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির তামাক ক্রয় অফিসে হামলা চালায়। সশস্ত্র ডাকাতদল অফিসের কর্মচারীদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তবে লোহার সিন্দুকে থাকা আরও ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তারা নিতে পারেনি। এ ঘটনায় পরদিন ১০ মে লামা থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্তে নেমে পুলিশ লামা ও পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকা থেকে ৩ জন নারীসহ জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– চকরিয়া উপজেলা, পূর্ব ভেউলা এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), চকরিয়া লক্ষ্যাচর এলাকার নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুর রহিম (৩৬), লামা পৌরসভা এলাকার মো. সুজন (২৫) লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকার আনোয়ারা বেগম (৪৫), ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড দলনেতা মো. করিমের স্ত্রী ও বোন এবং আরেকজন পুরুষ আসামি। বৃহস্পতিবার এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিমকে লামা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিমসহ এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানে ছয়টি পৃথক স্থান থেকে মোট ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম উদ্ধার জানান, লামা আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেডের টাকা ডাকাতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী লামা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যে বাড়ির পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা বুলেট, ধারালো ছুরি, লোহা কাটার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া টাকা উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।