মাস্ক না পরার শাস্তি হচ্ছে ‘মাইকে অন্যকে সচেতন করা’। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায়। জেলা প্রশাসন জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নগরীর সিআরবি, জাম্বুরী পার্ক, কাজির দেউড়ি, ফয়েজ লেক ও পতেঙ্গা এলাকায় তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। পতেঙ্গা থানা এলাকার অভিযানে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার। প্লাবন কুমারই অভিযানে থাকা অবস্থায় যারা মাস্ক পরেননি তাদেরকে দিয়ে ‘মাইকে অন্যকে সচেতন করা’নোর ব্যতিক্রমধর্মী এ কাজটি করেছেন। এ সম্পর্কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার আজাদীকে বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে পতেঙ্গায় মানুষের মধ্যে কোনো ভয় কাজ করছে না। কোনো রকম সচেতনতা তাদের মধ্যে নেই। করোনা এড়ানোর প্রধান উপাদান হিসেবে পরিচিত মাস্কটিই তারা মুখে দিচ্ছেন না। বিষয়টি নজরে পড়লে তাদেরকে সচেতন করা হয় এবং তাদের হাতে মাইক তুলে দেয়া হয়। মাইক দিয়ে অন্যকে সচেতন করানোর কাজটিও করানো হয়। তিনি বলেন, অভিযানে প্রায় ২০০ মাস্ক বিতরণ করেছি।
কাজীর দেউড়ি ও ফয়েস লেক এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি আজাদীকে বলেন, মাস্ক পরতেই চায় না মানুষ। কাজির দেউড়ি ও ফয়েস লেকে গিয়ে তা দেখেছি। এ দুই এলাকায় সচেতন করার পাশাপাশি ২০০ মাস্ক বিতরণ করেছি। ফয়েস লেকে ৬ জনকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এদিকে নগরীর সিআরবি ও জাম্বুরী পার্কে অভিযান চালিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম। তিনি আজাদীকে বলেন, মাস্ক পরতেই যতো অনীহা মানুষের। তাই তাদেরকে সচেতন করা হয়েছে এবং ২০০ মাস্ক বিতরণ করেছি।