মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ অনুযায়ী মাসিক ন্যুনতম মজুরি ১৬০০০ টাকা বাস্তবায়ন, নিয়োগকৃত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। জাহাজভাঙ্গা শিল্পের শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গ্রুপবীমা ও প্রভিডেন্ট ফাণ্ড চালু ও শিপ রিসাইক্লিং বোর্ডে মালিক-শ্রমিক সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়োগেরও দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এর সহযোগিতায় জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল গত ১৫ নভেম্বর পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক ফোরামের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা তপন দত্তের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক ফোরামের কোষাধ্যক্ষ রিজওয়ানুর রহমান খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের আব্দুর রহিম মাস্টার, জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (বিএফটিইউসি) চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন নেতা মো. ইদ্রিস। সভা সঞ্চালনা করেন বিলস কর্মকর্তা ফজলুল কবির মিন্টু। সভায় বক্তারা বলেন জাহাজভাঙ্গা শিল্পে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা জাহাজ ভাঙ্গা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। অথচ ২০১৮ সালে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
সভায় বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৫ অনুযায়ী সকল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে। ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করা যাবেনা। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক রাত্রকালীন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত কোন শ্রমিককে কাজ করানো যাবে না।এছাড়া সমাবেশে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, প্রত্যেক ইয়ার্ডে দক্ষ সেফটি অফিসার নিয়োগ, শ্রমিকদের মানসম্পন্ন ও উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি প্রদানকরার দাবি জানানো হয়। সভায় আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে জাহাজভাঙ্গা শিল্প সেক্টরে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবী জানানো হয়। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।