রিশাদ হোসেনের কাজটা বোলিং। কিন্তু তিনি প্রতিনিয়তই ব্যাটিংটা করে যাচ্ছেন দারুণভাবে। সৌম্য সরকারের মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ৪৫ রান করে ৮৯ বলে। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৫০.৫৬। আলিক আথানেজের মতো অনিয়মিত স্পিনার ১০ ওভারে দিয়েছেন স্রেফ ১৪ রান। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট কতটা কঠিন তা বোঝা যায় এসব তথ্যেই। অথচ সেই উইকেটেই দুর্দান্ত ক্যামিও ইনিংস খেলে ব্যাটিং রেকর্ডে নাম লেখালেন রিশাদ হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল মঙ্গলবার ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রিশাদ। তার ব্যাট থেকে ছক্কা ও চার আসে তিনটি করে। একসময় মনে হচ্ছিল দুইশর বেশ আগেই থামবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দুই ওভারে রিশাদের তাণ্ডবে বাংলাদেশ তোলে ৫০ ওভারে ২১৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে এক ওয়ানডেতে অন্তত ২০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটের ইনিংস এখন রিশাদের। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডারের এই ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ২৭৮.৫৭। এই সমীকরণে আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের। ২০০৬ সালে বগুড়ায় কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মাশরাফি। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৫। ইনিংসের শেষ বলে মাশরাফির ছক্কায় বাংলাদেশ সেদিন প্রথমবার ওয়ানডেতে ৩০০ রান তুলেছিল। ২০১৪ সালে মাশরাফির মতোই ঠিক ২৭৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলেন সাকিব। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনিও করেন ঠিক ১৬ বলে অপরাজিত ৪৪। এই রেকর্ডে তাদের পরের নামটি মুশফিকুর রহিমের। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গায়ানায় ১১ বলে করেছিলেন তিনি ৩০ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭২.৭২।












