মানবপাচারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ ও ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। এরা হচ্ছে হলো কক্সবাজারের উখিয়া ১৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শফিউল্লাকাটা ব্লক-বি-২ এর আবু শামার ছেলে আমির হোসেন (৩৪), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের
পশ্চিম গোদার বিলের দিল মোহম্মদের ছেলে রবিউল আলম (২০), উখিয়া ৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কুতুপালং বালুর মাঠ ব্লক-এ/৩ এর মোঃ রশিদের ছেলে মো. আইয়ুব (২৬) ও উখিয়া ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প জামতলী ব্লক-ডি/২ এর মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে আব্দুল রশিদ (৩৫)।
গত ৯ নভেম্বর দুপুরে টেকনাফ সদর ইউপি মধ্যম মহেশখালীপাড়া এলাকার রশিদ আহমদের বাড়ি থেকে দুই রোহিঙ্গা ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া ভিকটিম ২জন হলো টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬ এঙটেনশনের সৈয়দ আলমের ছেলে মোহাম্মদ আনাস ও বদি আলমের ছেলে মো. ফারুক।
এ ঘটনায় ভিকটিম ফারুকের পিতা বদি আলম বাদী
হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম। তিনি জানান, সাগরপথে পাচারের অভিযোগে চার পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ ও ১৬ এপিবিএন সদস্যরা। সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করে রাখা টেকনাফের মহেশখালীপাড়া এলাকা থেকে দুই রোহিঙ্গা ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গাসহ চার পাচারকারীকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ এই মাদক মামলার চার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার মোট ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে এই মানবপাচার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার এস আই মো. মাহমুদুল হাসান মাহবুব বলেন, ‘১০ নভেম্বর দুপুরে গ্রেপ্তার চার আসামি ও দুই ভিকটিমকে কঙবাজার জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার পলাতক অপর দুই আসামি হলো টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মধ্য মহেশখালী পাড়ার মৃত আব্দুর সালামের ছেলে রশিদ আহম্মদ (৪৫) ও মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে মোঃ আনোয়ার (৫০)।’