মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে

| শুক্রবার , ২২ জুলাই, ২০২২ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

পঁয়তাল্লিশ মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি শুরুর আশা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ সফর থেকে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি বললেন, ‘আপনার ওয়ার্কার কবে নাগাদ আসবে?’ তো, আমার মিশনের সাথে আলাপ করলাম, তারা জানাল, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে। উনি বললেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ওয়ার্কার খুব দরকার।’ মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে (জিটুজি প্লাস) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পাঁচ বছর মেয়াদী এই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয় ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।

কিন্তু প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ওই ১০ এজেন্সিকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’ করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলাম। বললেন যে, তাদের ওয়ার্কার দরকার, বাংলাদেশি ওয়ার্কার তারা চান। আমি বললাম, আমরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে, আমরা দিতে চাই। তবে একটা বিষয়, আমাদের ওয়ার্কার যারা আসবে তারা যেন এঙপ্লয়টেড না হয়, বৈষম্যের শিকার না হয়, তাদের যেন ওয়েলফেয়ার দেখা হয়।

এর জবাবে শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য না করার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি বললেন, ‘আমরা একটা আইন করেছি, এই আইনের অধীনে যারাই কাজ করবে মালয়েশিয়াতে, কেবল বাংলাদেশি না, যে কোনো ওয়ার্কার্স, তাদের আমরা ভালো আবাসন দিব, তাদের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্য করা হবে না। আমরা এটার নিশ্চয়তা দিচ্ছি’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসচেতন হতে হবে নদী পাড়ের মানুষদের