সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মাল্টা আমদানির ঘোষণায় ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট নিয়ে আসে ঢাকার মালিবাগের আহসান করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি কন্টেনারভর্তি সিগারেট আমদানির মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে।
গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০ ফুটের কন্টেনারটি খুলে জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এইআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা কন্টেনারটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। কন্টেনার খুলে সেখানে অল্প পরিমাণ মাল্টা দেখতে পান। এছাড়া গণনা করে দেখেন কন্টেনারে ১ হাজার ২৫০ কার্টনভর্তি লেমার ও অস্কার ব্র্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট। মাল্টার সঙ্গে ঘোষণা ছাড়া বিদেশি সিগারেট এনে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে চালানটি আসার পর গত ১৯ মে ৪০ ফুট কন্টেনারের চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের দিবা ট্রেডিং লিমিটেড কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, কোন দেশ থেকে ঘোষিত পণ্য মাল্টা আমদানি করা হয়েছে, আমদানিকারকের গত কয়েক বছরের আমদানির রেকর্ডসহ সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করেন। এতে তাদের সন্দেহ হয়, কনটেইনারটিতে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য থাকতে পারে। এ সন্দেহের ভিত্তিতে বুধবার রাত ২ টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে কন্টেনার খুলে কার্টন বের করে গণনা শুরু করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে গণনা শেষে দেখা গেছে, কন্টেনারটিতে ১ হাজার ২৫০ কার্টনে ছিল লেমার ও অস্কার ব্র্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট ছাড়াও ৩৮৮ কার্টনে ৫ হাজার ৪৩২ কেজি মাল্টাও ছিল। সিগারেট আমদানিতে ৫৯৬ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। এ হিসেবে ঘোষণা ছাড়াই সোয়া কোটি শলাকা বিদেশি সিগারেট এনে প্রায় ৩০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।