মাল্টা উপকূলে গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা

গাজায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত

| শনিবার , ৩ মে, ২০২৫ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

গাজার জন্য মানবিক ত্রাণ ও কর্মীবাহী একটি জাহাজ গতকাল শুক্রবার মাল্টা উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন থেকে বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছেন জাহাজ যাত্রার আয়োজকরা। ইসরায়েলের গাজা অবরোধকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ত্রাণবাহী এই জাহাজটি সেখানে পাঠাচ্ছিল ‘দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিল্লা কোয়ালিশন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক এনজিও। খবর বিডি/বাংলানিউজের।

তারা জানায়, দ্য কনসায়েন্স নামের এই জাহাজটিতে রাতে হামলা হয় এবং হামলার পরপরই জাহাজ থেকে জরুরি সংকেত আসে। ভিডিও ফুটেজে অন্ধকারের মধ্যে জাহাজে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দও। মাল্টা সরকার জানায়, জাহাজের আগুন পরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং জাহাজটিতে যারা ছিল তারা সবাই নিরাপদে আছে। তবে এনজিও এবং সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেছেন, জাহাজের বিপদ এখনও কাটেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে থুনবার্গ বলেন, তিনি মাল্টায় ছিলেন এবং ফ্রিডম ফ্লোটিল্লার পরিকল্পিত এই যাত্রায় তারও গাজাগামী জাহাজটিতে চড়ার কথা ছিল। মাল্টা সরকার জানিয়েছে, মধ্যরাতের কিছু পর সমুদ্র কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি সংকেত পায়। সে সময় তাদেরকে একটি জাহাজে আগুন লাগার খবর জানানো হয়। জাহাজটি মাল্টার আঞ্চলিক জলসীমার বাইরে ছিল এবং এতে ১২ জন ক্রু ও চার জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। যদিও ফ্রিডম ফ্লোটিল্লা বলছে, জাহাজে ছিলেন ৩০ কর্মী। জাহাজের আগুন নেভাতে মাল্টা সরকার একটি টাগবোট পাঠানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিল্লা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ, গাজা অবরোধ এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক পরিবহনে হামলার মতো অপরাধের জন্য জবাবদিহি চেয়ে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার আহ্বান জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধজেএসডি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি সভা আজ