মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। ঘটনাটি বিশ্বের বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম রহস্যময় ঘটনা হয়ে আছে। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিং যাওয়ার সময় ২৩৯ জন যাত্রীসহ বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি পথ থেকে হারিয়ে যায়। খবর বিডিনিউজের।
স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি সম্ভবত ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু দুইবার বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়ে উড়োজাহাজটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হলেও উল্লেখ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। সামরিক রাডারে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি এর গমনপথ ছেড়ে উল্টো পথে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চল ও পেনাং দ্বীপের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে আন্দামান সাগর হয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরপাশ দিয়ে এগিয়ে যায়, এরপর দক্ষিণ দিকে বাঁক নেওয়ার পর থেকে সব যোগাযোগ হারিয়ে যায়। উড়োজাহাজটির খোঁজে মালয়েশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়া ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে পানির নিচে অনুসন্ধান শুরু করে। এ অনুসন্ধানে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়। কিন্তু দুই বছর অনুসন্ধানের পরও উড়োজাহাজটির কোনো চিহ্নের খোঁজ না পেয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী এক অনুসন্ধানেও কোনো ফল না মেলার পর ২০১৮ সালের মে–তে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করা হয়। এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের নিখোঁজের বিষয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ৪৯৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বোয়িং ৭৭৭–কে অন্যপথে নিতে সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে এর কন্ট্রোল উদ্দেশ্য হাসিলে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু কে এর জন্য দায়ী তদন্তকারীরা তা নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে উড়োজাহাজটির কী হয়েছে, প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত টানা হয়নি। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, যদি কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে তাহলে এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের অন্তর্ধানের বিষয়ে তার সরকার নতুন করে তদন্ত শুরু করতে চায়।












