মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে পেনাংয়ের বাটু মাউংয়ে তিন তলা ওই ভবন ধসের ঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।
নিহতরা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ মোকাদ্দেস আলী (৪৬), কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২৯) এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইপাই গ্রামের মো. আহাদ আলী (৪২)। গতকাল বুধবার কুয়ালামাপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর প্রথম প্রেস সচিব সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ পাসপোর্ট নাম্বারসহ নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পেনাংয়ের উপ–পুলিশ প্রধান উসুফ জান বলেন, নির্মাণাধীন ওই ভবনের ১২ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ধসে পড়লে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এর জেরে আরো ১৪টি বিম ভেঙে পড়ে। ওই সময় সেখানে কাজ করছিলেন ১৮ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে নয়জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন। পরে তিনজনের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। চারজন এখনও আটকা পড়ে আছেন, তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পত্রিকাগুলো।
রাতে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার বিকট শব্দ শুনতে পান ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকায় থাকা শ্রমিকরাও। তাদের মধ্যে ৩৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইখতিয়ার নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, ঘটনাটিকে ভূমিকম্পের মত মনে হয়েছিল তার। আমি পাশের একটি সাইটে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হল। ভবনটির মাঝের অংশে বিশাল কংক্রিটের বিম ভেঙে পড়ল। অন্যদের নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি, বিমগুলো ভেঙে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস সচিব সুফি মারুফ বলেন, তিনজনের লাশ বর্তমানে পেনাং জেনারেল হাসপাতালে আছে। আরও দুই বাংলাদেশি শ্রমিককে ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তারা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। নিহত ৩ প্রবাসীর লাশ দ্রুত দেশে পাঠাতে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্যও কাজ করবে হাই কমিশন।