বাংলাদেশ–মালদ্বীপ আজ বুধবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টায় এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণ বলেন, ‘দলের সবাই এটাই মনে করে যে, দুটা ম্যাচে সেরাটা দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এএফসির বাছাইয়ে ভালো করা, নিশ্চিতভাবে সেটা করতে হলে এখানে সেরাটা দিতে হবে।’ ২০২৪ সালে নভেম্বর উইন্ডোর এই দুুই ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য শেষ। তাই হোম সিরিজে জয়ের জন্য মুখিয়ে ফুটবলাররা। তপু বলেন, ‘মৌসুমের শেষ ম্যাচ, আমরা চাই যে শেষ ভালো যার সব ভালো তার, আমরা মালদ্বীপের সঙ্গে যে ম্যাচগুলো খেলেছি এবং মালদ্বীপ অন্য যাদের সঙ্গে খেলেছে, সেই ভিডিওগুলো আমরা দেখেছি। কোচ ওদের শক্তি এবং দুর্বলতার দিক নিয়ে কাজ করেছে। সবশেষ আমরা ভুটানের সঙ্গে খেলেছি, এরপর দুই মাসের গ্যাপ ছিল। তবে আমরা ফিট আছি। মালদ্বীপ শক্তিশালী দল, তাদেরকে আমরা সেই সম্মান দিয়ে মাঠে নামব।’ আগামী ৯ ডিসেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ড্র। এরপর আগামী বছর মার্চ, জুন ও সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হবে। তাই এশিয়ান পর্যায়ের লড়াইয়ের আগে নভেম্বর উইন্ডোতে শেষ প্রস্তুতির সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণও তাই মালদ্বীপ ম্যাচ দিয়ে এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি নিতে চান। বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা শুরুতে কয়েকজন নিয়ে অনুশীলন শুরু করি, পরে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রাও যোগ দেয়। এরপর আমরা ফর্টিসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, যেটা ছিল ইতিবাচক ব্যাপার। আমি চাই ছেলেরা সমর্থকদের জন্য খেলুক, দায়িত্ব নিয়ে খেলুক এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাল পারফরম্যান্স করুক।’
কোচের সঙ্গে শিষ্য তপুও একই সুর মিলিয়ে বলেন, ‘প্রস্তুতি খুবই ভালো। প্রতিটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে কোচ সব বলে দিয়েছেন। এ জায়গায় আমার মনে হয়, আমাদের খেলোয়াড়দের কি করণীয়, কি কাজ, সেটা সবাই জানে। কালকে প্রমাণ দিতে হবে আমাদের যে আমরা কাজ করেছি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। দলের সবার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে, বিশ্বাস রাখছি।’