সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের কোচ বলেছিলেন তাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। কিন্তু কোচের সে লক্ষ্য হোঁচট খায় প্রথম ম্যাচেই। দুর্দান্ত খেলেও লেবাননের কাছে হেরে শংকায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন। তবে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিলো বাংলাদেশ দল। প্রথমে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে মালদ্বীপকে ৩–১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। ‘বি’ গ্রুপে লেবানন, বাংলাদেশ আর মালদ্বীপ তিন দলেরই ৩ পয়েন্ট করে। বাংলাদেশ আছে দুই নম্বরে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান আর মালদ্বীপের প্রতিপক্ষ লেবানন। কাজেই ভুটানকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ দল। খেলার শুরু থেকেই বাংলাদেশ চাপ সৃষ্টি করলেও ১৭ মিনিটে অপ্রত্যাশিতভাবেই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। তবে বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও দাপট দেখায় বাংলাদেশ। এ অর্ধের শুরুতেই আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড বঙের একটু ওপর দিয়ে চলে গেলে মিস হয় আরেকটি সুযোগ। ৬২ মিনিটে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ। এর পাঁচ মিনিট পরই খেলার ৬৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বঙের ভেতর বেশ ভালো একটি জটলা সৃষ্টি হয়। প্রথমে হৃদয় শট নেন। সেটা ফিরে আসে। পরে আবার শট নেন। সেটাও ফিরে আসে। সে ফিরতি বলে তারিক কাজি হেড করে বল জড়ান জালে। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬৯ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়তে পারতো। এবার বঙের বাইরে থেকে মোরসালিনের দুর্দান্ত শট মালদ্বীপ গোলরক্ষক কোনোমতে রক্ষা করেন। ৮৫ মিনিটে মালদ্বীপের সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল। তবে বঙের মধ্যে হামজার হেড গ্রিপে নিতে সমস্যা হয়নি জিকোর। ৯০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মোরসালিন। বিশ্বনাথের বাড়ানো বল বঙের ডানপাশে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে দারুন এক শটে পাঠিয়ে দেন জালে। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩–১ গোলে। ৬ মিনিটের ইনজুরি সময় পেলেও ম্যাচে আর ফেরা হয়নি মালদ্বীপের। অসমাধারন এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। সে সাথে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখে জামাল ভুইয়ারা।