মার্কেট শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর প্রশাসন

৬১ মামলায় ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৬ মে, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারির মধ্যে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার শর্তে ঈদ উপলক্ষে দেশের সকল শপিংমল, ছোট-বড় মার্কেট খুলে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের দেয়া শর্তগুলো মানছে কিনা তা মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও সকল মার্কেট-শপিংমলে প্রতিদিন নজর রাখছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। কিন্তু যেসব শর্তে ব্যবাসায়ীদের দোকানপাট-মার্কেট খুলে দেয়া হয়েছে ঈদ বাজারে প্রায় মার্কেটেই শর্তগুলো মানা হচ্ছে না। ক্রেতাদের ভিড়ের কারণে কোনো মার্কেটই পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় ১০ অভিযানে ৬১ মামলায় ৩৬ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ৪শ’ মাস্ক বিতরণ করেন তারা।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা নগরীর টেরিবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৯ মামলায় ৭২০০ টাকা জরিমানা এবং সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান নগরীর টেরিবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ১১ মামলায় ১০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন রেয়াজুদ্দিন বাজার ও তামাকুমন্ডি লেন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ২৪ মামলায় ১১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন। এছাড়া সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৯ মামলায় ৩২০০ টাকা জরিমানা এবং মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান রেয়াজুদ্দিন বাজার ও তামাকুমন্ডি লেন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৮ মামলায় মোট ৪৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন। এছাড়া লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, গালিব চৌধুরী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগরে জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে বিনামূল্যে টেলি মেডিসিন সেবা উদ্বোধন