বর্ষা শেষ। ঘনিয়ে আসছে শীত। নগরীর মার্কেটগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতের পুরোনো কাপড়। ব্যবসায়ীদের ভাষায় এসব গাইডের কাপড় নামে পরিচিত। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এসব কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গাইড কাপড়ের ব্যবসা গত কয়েক বছর ধরে ভালো যাচ্ছে না। গত বছর করোনাকালীন লকডাউনের কবলে ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশামতো ব্যবসা করতে পারেননি। অন্যদিকে আবহাওয়াও কিছুটা উষ্ণ ছিল। তাই ব্যবসায়ীদের লোকসান দিতে হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি তো আছেই। সাধারণত গাইডের কাপড় সবচেয়ে বেশি আসে তাইওয়ান ও কোরিয়া থেকে। এছাড়া জাপান থেকেও কিছু পণ্য আসে। এবার করোনা মহামারির কারণে আমদানি খরচও বেড়ে গেছে। তাই বাজার চাহিদা বিবেচনায় কাপড় আনছে সবাই।
নগরীর গাইড কাপড়ের দোকান খাতুনগঞ্জ এবং জহুর হকার্স মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে আমদানিকৃত শীতের পুরাতন গাইডের কাপড় আসতে শুরু করছে। এসব পণ্য খুলে বেছে বেছে আলাদা করা হচ্ছে। আলাদা করে শো রুমে সাঁটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। একেক গাইডে একেক ধরনের শীতের কাপড় থাকে। মূলত কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ব্ল্যাজার এবং লংকোট থাকে। পাইকারি বাজার থেকে এসব পুরাতন কাপড় সংগ্রহ করে ভ্রাম্যমাণ হকাররা বিভিন্ন অলিগলিতে বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া চট্টগ্রামের পার্শ্ববর্তী জেলা এবং উপজেলা থেকেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এসব কাপড় কিনতে ছুটে আসেন। জহুর হকার্স মার্কেটের গাইড ব্যবসায়ী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, গাইডের কাপড়ে এখন আগের মত মুনাফা করা যাচ্ছে না। শীতের কাপড়ের ব্যবসা সম্পূর্ণ মৌসুমকেন্দ্রীক। তাই এই ব্যবসাতে ঝুঁকিও বেশি নিতে হয়।