চকরিয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে ছুরিকাঘাতে খুনের শিকার জামায়াত নেতা আরিফ হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত চাচাতো ভাই খাইরুদ্দীনও (৪৫) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান বলে স্বজনেরা নিশ্চিত করেছেন।
খাইরুদ্দীনের নিকটাত্মীয় তোফাইল হক জানান, গত মঙ্গলবার অতর্কিত হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান জামায়াত ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক আরিফ হোসেন (৪০)। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তারই চাচাতো ভাই খাইরুদ্দীন। এ সময় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পাঁচদিনের মাথায় তিনিও মারা গেলেন।
এদিকে জামায়াত নেতা আরিফ হোসেন খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই আরমান হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলা রুজু হওয়ার আগেই পুলিশ সকল আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়– খুনের শিকার আরিফ ও তার চাচাতো ভাই খাইরুদ্দীন গত মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ছোঁয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে সওদা করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে সড়কে পৌঁছলে ওঁৎ পেতে থাকা সাজ্জাদ হোসেন সুজন ও অপরাপর আসামিরা আরিফ ও খাইরুদ্দীনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আরিফ মারা যায়। পরে তাকে ও আহত খাইরুদ্দীনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত খাইরুদ্দীনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আরিফ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে এবং এজাহার নামীয় সকল আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। একই ঘটনায় যেহেতু আরেকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সেহেতু নতুন করে মামলা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে অবহিত করবেন এবং জোড়া খুন হিসেবে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে অচিরেই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।