নগরীতে সাধারণ মানুষের চোখ ফাঁকি দিতে কখনো পুলিশ, আবার কখনো সড়কে মারামারির ঘটনা সাজিয়ে শিকারকে ঘিরে ধরে ডাকাতিতে জড়িত একটি আন্তঃজেলা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধারের পাশাপাশি লুণ্ঠিত স্বর্ণের ক্রেতা এক জুয়েলার্স মালিককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য মিশকাত উদ্দিন ছিদ্দিকী (২০), শোয়েব চৌধুরী বাবু (২১) ও রাশেদ (২৭) এবং কোতোয়ালী এলাকায় নবরত্ন জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানের মালিক শাওন বণিক।
গত ২ নভেম্বর বিকালে বাকলিয়া থানাধীন এক গরুর খামারি টমটম যাত্রীর কাছ থেকে নগদ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা, স্বর্ণের চেইন, মোবাইলসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় একটি চক্র। ওই ঘটনায় বাকলিয়া থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় অভিযান চালিয়ে পরে পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ওই চক্রটির সন্ধান পায়। একে একে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাকলিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এরা বিভিন্ন সময় নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করত। একই চক্রটি আবার সড়কে মারামারির ঘটনা সাজিয়ে শিকারকে ঘিরে ধরে ডাকাতি করত। এতে আশেপাশের লোকজন বুঝতে পারত না কি হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। ওসি জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে এসএম মিশকাত উদ্দিন ছিদ্দিকী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় মামলার বাদীর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যনুযায়ী ডাকাতির ঘটনায় জড়িত শোয়েব চৌধুরী বাবু ও রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় রাশেদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় আসামিদের আদালতে হাজির করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ডাকাতির ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।