মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা : ডা. রবিউল

| বুধবার , ১০ মার্চ, ২০২১ at ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

গ্লুকোমা রোগকে চোখের নীরব ঘাতক উল্লেখ করে খ্যাতিমান চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেছেন, মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা, যা অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। এ রোগে চোখের ভেতর চাপ বেড়ে গেলে চোখের অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী অন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্লুকোমা রোগে দৃষ্টির যে ক্ষতি হয়, তা কখনো ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এ রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যারা চল্লিশোর্ধ্ব তাদের উচিত চোখের যেকোনো ধরনের উপসর্গের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
গ্লুকোমা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে ডা. রবিউল বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রাঙ্গণ থেকে এক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও আইএইচএল’র চেয়ারম্যান ডা. রবিউল হোসেন শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করেন। এ সময় আরো অংশ নেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. কামরুল ইসলাম, আইসিও’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজীব হোসেন, অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. সাজ্জাদ হোসেন খান, কনসালটেন্ট ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, রেসিডেন্ট সার্জেন ডা. সোমা রানী রায়, অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. তাহমিনা আক্তার, ডা. সুইটি বড়ুয়া, ডা. তনিমা রায়, ডা. সায়লা বেগম, ডা. মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও অপটোমেট্টির শিক্ষার্থীরা। এর আগে চোখের গ্লুকোমা নির্ণয় ও প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের সিনিয়র অ্যাসিট্যান্ট সার্জন ডা. উম্মে সালমা আকবর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্যম হালিশহরে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (র.) বার্ষিক ওরশ
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ কাট্টলীতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু