জীবনের ৯২ বসন্ত পার করে গতবছর পঞ্চমবারের মত বাগদানের খবর দিয়েছিলেন মিডিয়া মোগল, ধনকুবের রুপার্ট মারডক; বলেছিলেন, ‘এটাই শেষ প্রেম’। কিন্তু তার ‘চির যৌবনা’ হৃদয় সেই প্রতিশ্রুতি মনে রাখেনি, ফের ডুবেছে কারো প্রেমে। আর এখন সেটির আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে চলেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার অবসরপ্রাপ্ত মলিকিউলার বায়োলোজিস্ট এলেনা ঝুকোভার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন এই ধনকুবের। ৬৭ বছর বয়সী বান্ধবী ঝুকোভার সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই তিনি ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। এ বছরই ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের আঙুর বাগান ও বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারা হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তাদের বিয়ে হবে আসছে জুনে। নিমন্ত্রণপত্রও ইতোমধ্যে বিলি করা হয়েছে।
রুপার্ট মারডক এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মত বাগদান সম্পন্ন করলেন। তবে বিয়ে করেছেন এ যাবত পাঁচবার। সবশেষ ২০২৩ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন পুলিশ চ্যাপলেইন ৬৬ বছর বয়সী অ্যান লেসলি স্মিথকে আংটি পরান তিনি। কিন্তু পরের মাসেই আসে সেই বাগদান ভেঙে যাওয়ার খবর। নিজের প্রতিষ্ঠান নিউ ইয়র্ক পোস্টকে এই ব্যবসায়ী বলেছিলেন, প্রেমে পড়তে আমার ভয়ই হচ্ছিল। তবে আমি জানি, এটাই আমার শেষ প্রেম। আর সেটা হলেই ভালো। কিন্তু সেই ভালো আর ভালো হয়ে ওঠেনি। ফলে নিজের প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করতে পারেননি। স্মিথের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে তখন মারডকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে ভ্যানিটি ফেয়ার জানিয়েছিল, স্মিথকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত মারডক। আর সেটা ছিল স্মিথের ‘স্পষ্টভাষী প্রটেস্ট্যান্ট দৃষ্টিভঙ্গির’ কারণে।
অপরদিকে মারডক এখন যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, সেই এলেনা ঝুকোভা ছিলেন রুশ বিলিয়নেয়ার আলেকজান্ডার ঝুকোভের স্ত্রী। মারডকের প্রাক্তন স্ত্রী চীনা বংশোদ্ভূত ওয়েন্ডি ডেং আয়োজিত এক পার্টিতে এলেনা ঝুকোভার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই থেকে পরিচয়, এরপর প্রেম।
রুপার্ট মারডক এর আগে অস্ট্রেলিয়ান বিমানবালা প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা ম্যান এবং চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেছিলেন। ছয় বছর সংসারের পর চতুর্থ স্ত্রী জেরি হলের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয় ২০২২ সালে। প্রথম তিন স্ত্রীর সংসারের ছয়জন ছেলে–মেয়ে রয়েছে। নিউজ করপোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান রুপার্ট মারডক সংবাদপত্র প্রকাশনার ব্যবসা শুরু করেন ২২ বছর বয়সে। তিনি ও তার পরিবার এখন বিশ্বের ১২০টি সংবাদমাধ্যমের মালিক। গত বছর তিনি ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। প্রায় শতায়ু জীবনের ক্যারিয়ারে নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে গেছেন এই ধনকুবের।