‘মা’ – অতি ক্ষুদ্র শব্দ। অথচ এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মধুর সম্পর্কের নাম। বুকের স্পন্দনে সারাক্ষণ শান্তির পরশ বুলায় মা। জীবনের সঞ্চিত কানাকড়ি হিসেবে সুখজ ঝর্ণা ধারায় উদ্ভাসিত হই সদা মায়ের কথা ভেবে। জীবনের সহস্র লুকানো বেদনাপূর্ণ যন্ত্রণা দগ্ধ কালাতিপাত, সকল অসম্পুর্ণ স্বপ্ন, অমোঘ বিধানের বিনির্মাণ, নিদ্রাহীন রাত, ভাঙাচোরা গেরস্তালী আমার সব সবকিছুই যেন পরিপূর্ণতার প্রতিচ্ছায়ায় কেবল সান্ত্বনার বাণী ভুলিয়ে দেয় দুঃখের গ্লানি মা আমার মা। মা হীন পৃথিবী যেন শুধু ভুতুরে নির্যাসে দিনাতিপাত। আহা মা আমার জীবনের সর্বস্ব, একমাত্র বেঁচে থাকার অবলম্বন পরিবারের নিধিরাম সর্দার। যিনি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ভালোবাসা ও মমত্বের কোমল সুনিবিড় ছায়ায় নিটোল নিবিড় বন্ধনে আজও রচনা করেন আমার পথ চলার পাথেয় হয়ে। তিনিই তো আমার মা। আমার সারা জনমের অকৃত্রিম ভালোবাসার জীবনতরী। গত ২৩শে এপ্রিল ২০১৯ রাত ৯ টায় জীবনের মায়া ছিন্ন করে ‘মা‘ না ফেরার দেশে চির শান্তির সন্ধানে পরপারে পাড়ি জমান। ১৯৯১ সালে বাবা হারিয়ে মাকে উপজীব্য করে আমার সুখ দুঃখের স্মৃতিময় সংসার গড়ে উঠেছিল এক ঝলমলে রোদ্দুরে সোনালী উঠোনে। মা, সদাই নিত্য নামাজ, কোরান পাঠ, রোজা ও তাসবিহ তাহলিলে রাতদিনের সখ্যতায় তোমাকে পেয়েছি। তুমি প্রায়শ বলতে – ‘সন্তান, সম্ভ্রম ও জাগতিক সব বিধাতাকে সমর্পণ করলাম – আমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা’! সেই নয়নমণি মা আমার জীবনের অস্তিত্ব আমার সবকিছু। মা আমার শ্রেষ্ঠ মা, যাঁর জুড়ি মেলা ভার পৃথিবী জুড়ে।