জীবনের শুরুটা হয় মায়া দিয়ে যা আদিকাল হতে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। মায়ার জোরেই বাবা মা তাদের সন্তানদের ভালোবাসেন, যত্ন নেন, ভালোমন্দ শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে চান কারণটা কি ভালোবাসার মায়া? মায়া হতে ভাই বোনকে, বোন ভাইকে ভালোবাসে দেখাশোনা করে খেলাধুলা করে বিপদে এগিয়ে আসে বুকে আগলিয়ে রাখে মায়া মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে যার বর্ণনা কখনোই স্বয়ংসম্পুর্ণভাবে দেয়া সম্ভব নয়। বাবা–মায়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যে কোনো কিছু করাই একপ্রকার অন্যায়, বেয়াদবি, সীমালঙ্ঘন করার সামিল। কতটুকু ভালোবাসলে তাদের সন্তানকে বোঝানো যায় যে তাদের মধ্যে রয়েছে আত্মার মায়ার সম্পর্ক যা সুমধুর এবং পবিত্র। কিন্তু মাঝে মাঝে বাবা–মায়ের দেখা উচিত তাদের সন্তান কখনো তাদের অবাধ্য হয়েছে কী না? তাদের না জানিয়ে কিছু করেছে কী না? তারা কি কোনো অন্যায় করছে? যদি তা না করে থাকে তবে বোঝা উচিত তাদের মমতা ভালোবাসা মায়া সঠিক ছিলো। তাদের সন্তান তাদের বাধ্য তবে তাদের পাহারা দিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা উচিত বিশেষ করে যখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়। সন্তান যেহেতু অবাধ্য নয় তার মতামতের গুরুত্ব দেয়া উচিত। মোদ্দাকথা মায়ার বাঁধনে আটকে থেকে যে সন্তান কখনো বিপথে যায়নি এতোদিনেও সে যাই হোক অন্তত তাদের অবাধ্য হয়ে কিছু করবে তা ভাবা ভুল। অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাবা–মায়ের সামান্য ভুলে তাদের প্রিয় সন্তান হারিয়ে যায় কারণ তাদের মতামতের, পছন্দের গুরুত্ব গৌণ থাকায়। বাবা–মায়ের উচিত সন্তানের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত করা যা তাদের গুরু দায়িত্ব। সন্তান যাতে ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা তাদের অপূর্ণ ইচ্ছেগুলোকে পূরণ করতে তাদের সাহায্য করা। কাউকে কষ্ট না দিয়ে সন্তানকে বুঝিয়ে সঠিক পথে রাখা সবচেয়ে জরুরি। মায়ার উপর কিছু নেই, এই মায়াই পারে বাবা–মা–ভাই–বোন–সন্তানাদিদের একই সুতোয় গেঁথে রাখতে যা স্বয়ংসম্পুর্ণ ও আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ।