ভাবি শুধু অনুকূল ছায়া/ বয়ে বেড়ায় প্রীতি মায়া,/ সব মন সব ক্ষণ/ জেগে থাকে মায়াবী মন। মায়াবী বাধনে চিড় ধরলে শুরু হয় অন্তর্জ্বালা। মায়ার উৎকৃষ্ট চাপ, ভোলা মন প্রলোভীত স্মৃতি যন্ত্রণায় কেঁদে মরে। হায়রে মায়াময় জগত, স্মৃতিময় শক্তি। আপন জনের ভালোবাসাকে উৎরিয়ে জমে উঠে মহত্ত্ব মুগ্ধতার বন্ধন। প্রিযমুখের প্রতিচ্ছবি জেগে উঠে অন্তরে অন্তের। মুহূর্তের জন্য ভুলা যায় না। ধবল মনে ভালোবাসার বাসনায় হয়ে উঠে সমুদ্র বিলাসে। মায়া পৃষ্ঠ হৃদ্যতা হার মানিয়ে দে সব পরাভূত ভাবনাকে। মনে মনে জমে যায় এক স্মৃতির বন্ধন। খুবই নিদারুন এক লোমহর্ষক সখ্যতা ও হৃদ্যতা। কেউ কাকে ছেড়ে বাঁচে না বিন্দু মাত্র। রক্তহীন এমন মধুর পরশ, স্নেহ ভালোবাসা, জীবনের বন্ধনে হয়ে উঠে প্রচণ্ড মায়াবী মন্ত্র। মন যাকে চায় সে তো ভালোবাসার রাজ্য প্রেম প্রলুদ্ধ এক অবিনাশী প্রহর। যা এখন সমাজে প্রায় দেখা যায়। বলা যায়, রক্তের সম্পর্ক ছিটে ফোঁটা হয়ে উঠে। হারিয়ে হারিয়ে তরান্তিত হয় মায়াবী এসব দিন রাত। মায়ার হৃদ্যতায় যে হাত বাড়িয়ে থাকে সর্বক্ষণ, যার মন আমাকে শানিত করতে বাড়িয়ে রাখে অবারিত মায়া প্রীতির অনন্য মনোভাব–সে মায়া সে মুখ কি ভুলে থাকা যায়? বর্তমান প্রযুক্তির পরশে যেন মায়ার বাধনে রূপ নিয়েছে আকণ্ঠ বাসনায় বশীভূত অনল ধারা। কোন সমস্যা সমাধানে ছুটে আসা আপন মায়াবী মন কে কি দূরে রাখা যায়? নিশ্চয়ই না, যার স্বরূপে বর্তমান সময়কাল। আমি কি তাকে পাশ কেটে যেতে পারি?
ভালোবাসার মানুষ কে জীবন স্নিগ্ধতাকর শ্রীময় করে শান্তির প্রদীপ জ্বালায়। সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড মোহনীয় ও সুবিস্তৃত। দূরত্ব নয়, কাছে এসে মায়ার রাজ্যে হতে হবে বিবেচক ও সুতীক্ষ্ণ মায়ার বাঁধন বড্ড মধুর। মায়াবী মন বন্ধু, ভাই বোন ও স্বজনদের কাছে টানে। সুখে দুঃখে সাথী করে। সখ্যতা মিল অমিলে শেয়ারিং মনোভাব প্রফুল্ল করে। যা ভিন্ন রূপে দেখার সুযোগ নেই মোটেও। বলা বাহুল্য না, মাঝে মাঝে মায়ার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্কেও ছাড়িয়ে যায়। ভালোবাসার মধ্যে অদ্ভুত এক মায়া আছে, কষ্ট পেলেও ছাড়া যায় না। আবার মন ভেঙ্গে গেলে, ঘৃণাও করা যায় না। কবির ভাষায় বলি।
তুই যে মায়া, তুই যে স্বপ্ন/ তুই যে মতিভ্রম,/ তোর একটি কথায় ভাসাতে পারি তাবৎ সম্ভ্রম।