মামা, আমার বাদল মামা

শিহাব মালেক | রবিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় মামা মঈনুল আলম বাদল। আজ এক বছর পার হয়ে গেলো, আপনি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু এখনো বিশ্বাস করা মুশকিল। আমি, আমরা, আমাদের পরিবার এখনো আপনাকে মনে করি, আপনার চর্চা এখনো হয় আমাদের পরিবারে। আমার মা প্রায় সময় আপনার কথা বলেন। মা বলেন, বাদলের জায়গা কেউ নিতে পরবে না কখনো। আপনি চলে যাওয়ার পর আপনাকে আমরা পদে পদে অনুভব করছি। আপনি প্রতিদিন হাঁটতে বের হতেন আর টুকটাক বাজার করে মায়ের জন্য নিতে আসতেন। মা বাসার বা যে কোনো কাজের জন্য আপনাকে বলতেন।

আপনি চলে যাওয়ার পর মা অনেক কেঁদেছেন। আসলে আপনার জন্য কে কাঁদেন নি তা বলতে পারবো না। আমাদের পারিবারিক প্রতিটা অনুষ্ঠনে আমরা আপনাকে মিস করেছি। বাপ্পী (বাবা) প্রতিদিন অফিসে এসে প্রথমে বিজ্ঞাপন সেকশনে ঢোকেন, এর পর উনি আপনার রুমের সামনে এসে আমাকে উঁকি মেরে উনার রুমে চলে যান। আসলে উনি আমাকে দেখেন না আমার পেছনে থাকা আপনার ছবিটা দেখে চলে যান।

মামা, আপনি চলে যাওয়ার পর অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। আপনার রুমে কাকে বসাবো, আপনার জায়গায় কে আসবে, কে আজাদীকে আপনার মতো করে ভালোবাসবে?

আসলে আপনার এই রুমে অন্য কাউকে আমি দেখতে পারতাম না, তাই আমি নিজেই আপনার রুমে বসে পড়লাম। আপনার দায়িত্ব অনেক ছিল, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে বসে আমি হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি আপনি কতো দায়িত্বশীল ছিলেন।

মামা, আপনাকে নিয়ে লিখতে বসলে লেখা শেষ হবে না। আমি আগে কখনো পত্রিকায় কিছু লিখিনি। গত এক বছর ধরে আপনাকে নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছিলাম। কিন্তু লিখা হয়ে ওঠেনি। তাই আজ চেষ্টা করলাম আপনার চলে যাওয়ার ১ম বছরে আপনাকে নিয়ে সামান্য কিছু লিখার।

এই আজাদী, আজাদীর প্রতিজন সাংবাদিক, স্টাফ, আজাদীর মেশিন রুম, আপনার রুম, আপনার শূন্যতা আমরা পদে পদে উপলব্ধি করি।

এই আজাদী যদি কথা বলতে পারতো তা তাহলে আমরা আরো গভীরভাবে বুঝতে পারতাম আপনার প্রতি আজাদী বা আজাদী ভবনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কতোটাই কঠিন।

সর্বশেষ আল্লাহর কাছে এটাই দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক, আপনি আছেন থাকবেন সবসময় দৈনিক আজাদীর সাথে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আজাদী

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে
পরবর্তী নিবন্ধসমকালের দর্পণ