রাঙ্গুনিয়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড নাপিত পুকুরিয়া রাবার ড্যাম নতুন পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘরের সামনে ও পেছনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির টিনের বেড়া কেটে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কোনমতে বের হয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী ওই এলাকার মোতাহের হোসেনের ছেলে সবজি ব্যবসায়ী মো. রুবেল (৩১)। এতে তার নগদ ৭০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বাড়ির সবকিছু পুড়ে গিয়ে ৭–৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনের তৈরি চার কক্ষবিশিষ্ট ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চারপাশে পুড়ে যাওয়া টিনের স্তূপ। ভেতরে এদিক সেদিক ছড়িয়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া ঘরের সরঞ্জাম। এ সময় ভুক্তভোগী রুবেল জানান, তার বাবার সাথে সৎ মামা একই এলাকার মোহাম্মদ লিয়াকত আলীর ছেলে টিপুর (৪০) তুচ্ছ ঘটনায় দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা থাকলেও টিপুর ছোট ভাই ফরহাদ (৩৫) তাকে মুঠোফোনে হুমকি দিতে থাকে এবং এলাকায় তাকে খুঁজে যায়। পরে সোমবার রাতে তিনি নিজ ঘরে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তাকে স্বপরিবারে পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে ফরহাদ বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত রুবেলের বড় ভাই মো. লোকমান জানান, গত রমজানে তার ভাই ঋণ নিয়ে এই ঘরটি করেছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে মামা ফরহাদ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ মুঠোফোনে জানান, ঘরে তার মা মৃত্যুশয্যায়। সারারাত মাকে নিয়ে ছিলেন। তিনি আগুন দেননি এবং কারা দিয়েছেন তা আল্লাহ দেখেছে বলে জানান।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।