নগরীর কোর্টহিলের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলা বিচারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে দায়রা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে মামলাটির পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১৭ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা, এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিসহ সকল আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ফলে মামলাটি এখন সম্পূর্ণরূপে বিচারের জন্য প্রস্তুত। এরই প্রেক্ষিতে মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আলিফ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। মামলার বাদী ও আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরীফ উদ্দিন লিখিত আবেদনটি গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
আবেদনে বলা হয়, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার সম্পন্ন করার স্বার্থে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আলিফ হত্যা মামলাটির প্রকৃতি, প্রেক্ষাপট, সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও জাতীয় প্রভাবের কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য সম্পূর্ণভাবে উপযুক্ত, প্রাসঙ্গিক ও আইনগত সকল মানদণ্ড পূরণ করে। আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ নভেম্বর নগরীর কোর্টহিলের অদূরে মেথরপট্টি এলাকায় খুন হয়েছিলেন আলিফ। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মো. মাহফজুর রহমান ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চার্জশিটে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করলে চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ জন।












