ক্রিকেটার পরিচয়ের বাইরেও সাকিব আল হাসান এখন হত্যা মামলার আসামি। গত ২২ আগস্ট গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ঢাকার আদাবর থানায় মামলা করা হয়েছে তার নামে। এর আগে–পরে অনেকটা সময়ই নীরব থেকেছেন সাকিব। কিন্তু যখন মুখ খুললেন তখন টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। কথা বলেন তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়েও। বেশি কিছু বলতে না চাইলেও সাফাই গাইলেন নিজের পক্ষেই। জুলাইয়ের শুরু থেকেই দেশের বাইরে রয়েছেন সাকিব। এর মধ্যেই ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। সাকিব নিজেও হারিয়েছেন সংসদ সদস্য পদ। এরপরই তার নামে মামলা হয়। কানপুর টেস্ট খেলার আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন একটা মামলা হয়েছে। আসলে মামলা করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, এটা কেমন ধরনের মামলা ছিল কিংবা আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সুতরাং এ বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি বলতে চাই না। এখন দেশে পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। দেশে অনেক কিছু বদলে গেছে। যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে কেমন খেলছি, কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি, পাকিস্তানে কেমন খেলেছি এসব। ভাগ্য ভালো ছিল যে পাকিস্তানে আমরা ভালো ফল করেছি। ঠিক যেমন ফলাফল চেয়েছি। বাজে সময়ে নিজের মনযোগ ধরে রাখা নিয়ে সাকিব বলেন কঠিন, খুবই কঠিন। আমি কীভাবে ফোকাস রাখছি, এটা আল্লাহই জানেন। আমিও জানি না আসলে। ১৮ বছরের দীর্ঘ এক ক্যারিয়ার সাকিবের। উত্থান–পতন সবকিছুই দেখেছেন। তবু ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চূড়ায় ছিলেন তিনি। টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় তার মনে জায়গা পায়নি কোনো ধরনের অনুশোচনা। তিনি বলেন আমি মনে করি, আমি রিজনেবলি ওকে করেছি। আমি খুশি। কোনো অনুশোচনা নেই। জীবনে কখনো অনুশোচনা ছিল না। এখনো নেই। যত দিন উপভোগ করেছি, আমি ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয়েছে, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও আমার জন্য সঠিক সময়। যে কারণে এই সিদ্ধান্ত গুলো নেওয়া। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, বোর্ড সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আমি মনে করি এটাই আসলে সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময়। কমতো খেললামনা। এবার নতুনরা আসুক। আমি সরে গেলে আরেকজন আসবে সে জায়গায়। তারা দলকে টেনে নিয়ে যাবে সবার স্বপ্নের দিকে। তাই এই সময়টাকে বিদায় বলার সঠিক সময় বলে মনে করছি।