সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলাকে এবার চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার খরচ চালাতে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন এমদাদুল আলম নামে রাজাখালীর এক ব্যবসায়ীর কাছে।
এ ব্যাপারে ওই ব্যবসায়ী বাকলিয়া থানায় মামলা করলে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী ৫ নম্বর ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে ভোলাকে গতকাল বিকেলে আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ভোলা নতুন এই মামলা ছাড়াও আরও ১৮ মামলার আসামি। ভোলা এর আগে মিতু হত্যা মামলায়ও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন আজাদীকে জানান, বুধবার ভোলা তার আপন মামা ও ব্যবসায়ী এমদাদুল আলমের কাছে নিজের মামলা পরিচালনার খরচ বাবদ ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী এমদাদুল আলমের মালিকানাধীন জায়গার কেয়ারটেকারকে মারধর করে একটি প্লট দখলের চেষ্টা চালায়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বাকলিয়া থানা থেকে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এহতেশামুল হক ভোলার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৮টি মামলা রয়েছে। নগরীর বাকলিয়া এলাকার নিজস্ব ক্যাডারবাহিনী আছে ভোলার। ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি পাঁচলাইশ থানার তেলিপট্টি এলাকায় নিজের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষা অঞ্জলী রানীকে। পরে তার স্বামী ডা. রাজেন্দ্র চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে পুলিশ এবং পরে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্তে তার নাম উঠে আসায় ভোলাকে অঞ্জলি রানী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
এর পরের বছর ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ মামলার তদন্তে উঠে আসে মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন ভোলা। হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিনের মাথায় মো. মনির নামের এক সহযোগীসহ ভোলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
 
        
