মামলার বিষয়ে কথা বলতে এক আইনজীবীকে বাসায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করার ঘটনায় প্রতারক সোনিয়া ও ইমরান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকার মৌলভীপাড়া ইউসুফ হাজীর বাড়ি এলাকায় এস এইচ এম হাবিবুর রহমান আজাদ নামের (৫২) এক আইনজীবীর সাথে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আইনজীবী কৌশলে পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়া ইউসুফ হাজীর বাড়ীর জাহেদের বসত ঘরের নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে প্রথমে সোনিয়া ও পরে তার সহযোগী ইমরানকে গ্রেফতার করা হয় উল্লেখ করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওমি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে বলেন, গ্রেফতার সোনিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। ইমরানও তিন মামলার আসামি। তিনি বলেন, সোনিয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের প্রধান। তার গ্রুপে আরও চারজন ছেলেও আছে। সোনিয়া প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের নিজ ঘরে নিয়ে আসে। এরপর চক্রের বাকি সদস্যরা অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। যারা ছবি দেখেও টাকা দেয় না তাদের মারধর করে এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাদের হাতে এভাবে জিম্মি অবস্থায় ২০১৩ সালে একজন মারাও যায়। আইনজীবী হাবিবকেও একটি মামলার বিষয়ে কথা আছে বলে আগ্রাবাদের চৌমুহনীতে দেখা করে সোনিয়া। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মৌলভীপাড়া বাসায় যেতে বলে। এডভোকেট হাবিবও তার কথায় বাসায় যান। কিন্তু বাসায় যাওয়া মাত্রই আরও তিন যুবক তাকে আটক করে ফেলে। তারা তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় হাবিব কৌশলে থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সোনিয়াকে গ্রেফতার করে। তবে বাকিরা পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া জানায়, গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৫০ টি জিম্মির ঘটনা ঘটিয়েছে তার চক্র। গ্রেফতার সোনিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া চক্রে জড়িত প্রত্যেকেই ২ থেকে ৩ মামলার আসামি।