রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ কর্মী মঞ্জুরুল ইসলাম টাক্কুইল্যা (৩৮) খুনের মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন মামলার ২ নং আসামি মো. ওবায়দুল কাদের প্রকাশ সুমন (৩৮) এবং ৩ নং আসামি মো. আল–আমিন প্রকাশ সাগর (৩০)। সুমন উপজেলার মুরাদনগর এলাকার নবীর হোসেন প্রকাশ বাচা মিয়ার ছেলে এবং সাগর উপজেলার সৈয়দ বাড়ি এলাকার মৃত রামজান আলী প্রকাশ মিন্টু সওদাগরের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সুমনের ঘর থেকে দেশীয় তৈরি একটি এলজি এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, র্যাবের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে সাগরকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার আব্বাছিয়া পুল এবং সুমনকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাঁচলাইশ ওয়ার্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি অস্ত্র মামলা রজু করা হয়েছে। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ওরফে মঈনুকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৮ অক্টোবর বিকেলে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড শান্তি নিকেতন বালু মহাল শ্মশান এলাকায় বন্ধু সেকান্দরসহ বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন যুবলীগ কর্মী মঞ্জরুল। হঠাৎ মুখোশ পড়া কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাদের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। সেকান্দর পালিয়ে বাঁচলেও মঞ্জুরুল দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে বেধড়ক পিঠিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মঞ্জুরুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মঞ্জুরুলের বাড়ি স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ব্রক্ষোত্তর এলাকায়। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক। এই ঘটনায় মঞ্জুরুলের স্ত্রী কোহিনুর আকতার বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করে। এই মামলায় প্রধান তিন আসামি গ্রেফতার হলেও এখনো পলাতক রয়েছে শান্তি নিকেতন গ্রামের ডা. আদেশ দাশের ছেলে শুভজিত দাশ (৩৪)। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় বাদী কোহিনুর আকতার উল্লেখ করেন, তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত আসামিদের বালু মহাল নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জেরে তার স্বামীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন কোহিনুর। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
