মানুষ শান্তির দ্বারে পৌঁছাতে পারে না

মির্জা মোহাম্মদ আলী | সোমবার , ৩ মার্চ, ২০২৫ at ১২:১৪ অপরাহ্ণ

কুকুর আধাপেট বাসি পচা খেয়েও তারা তাদের গ্রষ্টার ওপর নির্ভর করে রাস্তার এক কিনারে আবর্জনার ওপর শুয়ে আরাম পায় আর শান্তিতে ঘুমায়।

একদিন ভোরে ভোরে নির্জনে রাস্তায় পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখি কুয়াশার ফাঁকে লাওয়ারিশ কুকুরেরা লেজ গুছিয়ে শুয়ে আছে তা দেখে ভাবছি আহা তাদের কতোই না কষ্ট! নেই ঘর নেই তোশক নেই শীত নিবারণের কোনো সামগ্রী শুধু আছে পশমের সাহায্যে কোন রকমে রাত যাপন করার একটা মাত্র দিক, তাদের জন্য আহার ডাস্টবিনের আবর্জনা, তবুও তারা নিয়তির ওপর ভরসা করে চলে, তাদের নেই কিছুর লালচ নেই খুনাখুনি নেই কোনো কারো স্বার্থ অপসারণের চিন্তাভাবনা, খুঁজে খুঁজে একটুখানি বাসি পচা আহার করে কতো শান্তিতে রাস্তার কিনারে নির্জনে ঘুমায় তা দেখে মনে অনেক কিছু ধারণা জাগে, যা আমরা মানুষের মধ্যে নেই, মানুষ সৃষ্টির মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব, মানুষের ঘর বাড়ি টাকা পয়সা ধন দৌলত সব আছে ভালো ভালো আহারও আছে, তবুও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে না, নিশ্চয় কোনো না কোনো সমস্যা লেগে থাকে, হয় কাউকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয় না, না হয় সে নিজেই ঘুমাতে পারে না, মানুষের মাঝে সভ্য সমাজ আছে শিক্ষাজ্ঞান আছে দালানকোঠা আছে আরামদায়ক তোশক আছে পরনের সামগ্রী আছে ব্যাংকে টাকা আছে সম্পত্তি ও খাদ্য সহ আত্মীয়স্বজন সব আছে বন্ধুবান্ধবও আছে, তবুও মানুষ নামের এই জীবগুলোর মনে বিন্দুমাত্র শান্তি নেই, কিন্তু কুকুর আধাপেট বাসি পচা খেয়েও তারা তাদের গ্রষ্টার ওপর নির্ভর করে রাস্তার এক কিনারে আবর্জনার ওপর শুয়ে আরাম পায়, শান্তিতে ঘুমায়, আর মানুষ! কোনো রকমের রাতটা কাটলেই সকালে উঠে অন্যের পিছনে লেগে থাকে, স্বার্থের খাতির শুরু করে জোরজুলুম চুরিডাকাতি হানাহানি ইত্যাদি, শুধুমাত্র অন্যের সম্পদ লুণ্ঠনে নিজের বিবেকবুদ্ধি বিলুপ্ত করে ফেলে, ফলে মানুষ শান্তির দ্বারে পৌঁছাতে পারে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন ব্রীজে ভোগান্তির অবসান চাই
পরবর্তী নিবন্ধপৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উপাধি মা