মানুষের পাশে দাঁড়ানোও চিকিৎসকদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ : মেয়র

৬৮তম সিএমপি ডে, নানা আয়োজন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১:৩০ অপরাহ্ণ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার পালিত হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গৌরবের ৬৮তম সিএমসি ডে ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজনের মধ্যে ছিল র‌্যালি ও আলোচনা সভা। বেলুন উড়িয়ে র‌্যালি উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চমেক ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে র‌্যালিটি মেডিকেল কলেজের সড়ক হয়ে শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ নেন শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামবাসীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চমেক থেকে প্রতি বছর যে শিক্ষার্থীরা ডাক্তার হয়ে বের হচ্ছেন, তাদের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা প্রদান নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ জাতি গঠনে তরুণ চিকিৎসকদের দায়িত্ব আরও বেশি।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে এখনো অনেক মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এক্ষেত্রে চমেকের শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যদি সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি গবেষণা ও সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন, তবে নগরবাসী একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও সুন্দর জীবন পাবে।

অনুষ্ঠানে চমেকের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নগরের স্বাস্থ্যসেবা খাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ঐতিহ্য ও অবদান তুলে ধরেন। তারা বলেন, ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠান শুধু চিকিৎসক তৈরি করেনি, চিকিৎসা শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবদুর রবের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. তসলিম উদ্দিন, চমেকের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনুস, চমেকের প্রাক্তন ছাত্র প্রফেসর ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. ইমাম উদ্দিন, প্রফেসর ডা. এস এম তারেক, প্রফেসর ডা. জসিম উদ্দিন, প্রফেসর ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী, প্রফেসর ডা. মাইন উদ্দিন, প্রফেসর ডা. হাসানুজ্জামান, প্রফেসর ডা. অজয় দেব, প্রফেসর ডা. আবদুস সাত্তার, প্রফেসর ডা. তাজিন সুলতানা, ডা. তনুজা তানজিন, ডা. মো. আবু নাসের, ডা. ফয়েজুর রহমান, ডা. মাহমুদুর রহমান, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. কামরুল হক, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ডা. ইমরোজ উদ্দিন ও ডা. তানভীর হাবিব তান্না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশুদের মনোজগতে সৃষ্টিশীলতাকে পৌঁছে দিতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধছেলেকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা ফটিকছড়িতে