বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ২০১৬ সালে আমি সাত মাসের জন্য গুম হই। অনেকে হয়ত মনে করেছে ভালো লাইন ঘাট করে বের হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কোনো নজির নেই, নাই লাইন ঘাটের কারণে আওয়ামী লীগের জুলুম থেকে কেউ বেঁচেছে। শুধুমাত্র মানুষের দোয়ার কারণেই গুম থেকে বের হতে পেরেছি। ভরসা ছিলো, রাঙ্গুনিয়ার মানুষ আমার বাবার জন্য লড়াই করেছিলো। বাবাকে হারানোর পর দেখেছি, আপনারা মাঠে ছিলেন, দলকে ধরে রেখেছিলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্য লড়াই করেছিলেন। গুম থেকে ফেরার পর ছবিতে দেখেছি প্রতি সপ্তাহেই আপনারা আমার জন্য প্রতিটি মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া করেছিলেন। আমি আপনাদের কাছে ঋণী। এই ঋণী শোধ করার জন্যই আপনাদের কাছে এসেছি। আমার ভোট লাগবে না, দোয়া লাগবে। কারণ এটার কারণেই এখনো জীবিত আছি।
সোমবার রাঙ্গুনিয়া উপেজেলার শিলক ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী স্কুল মাঠে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারেক রহমান এই বাংলাদেশ মেরামতের জন্য ৩১ দফা লিখিতভাবে পাঠিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন মঞ্চে দাঁড়ানো নেতৃবৃন্দের দ্বারা সম্ভব নয়। এটা আপনাদের মতামত, পরিশ্রম, সহায়তা, দোয়া ছাড়া তার একটি দফাও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। জনগণের সম্পৃক্ততায় ৩১ দফা বাস্তবায়ন সম্ভব।
শিলক ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন বান্টুর সভাপতিত্বে এবং আবুল হোসেন চৌধুরী ও মহসিন তালুকদারের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শওকত আলী নূর, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নিজামুল হক তপন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিকদার, হেলাল উদ্দিন শাহ, ইউসুফ চৌধুরীর, ভিপি আনছুর উদ্দিন, আবদুল করিম চৌধুরী, আবদুল গফুর খান, মাকসুদুল হক, পারভেজ মোশাররফ, ফারুকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম বাবর, শওকত তালুকদার, জামশেদ মেম্বার, নাজিম চেয়ারম্যান, বাবর আলম তালুকদার, আবু বক্কর, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, তাহনিয়াজ মোরশেদ তোহা, নিশাত সিকদার, খায়েজ আহমেদ বাচা, মহসিন তালুকদার প্রমুখ।
রাউজান না রাঙ্গুনিয়া স্লোগান প্রসঙ্গে হুম্মাম কাদের বলেন, সবাই বলে রাউজান না রাঙ্গুনিয়া। কিন্তু আমার বাবা বহু আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো, রাঙ্গুনিয়া রাঙ্গুনিয়া। বাবার সিদ্ধান্তের এটা আমি বদলাতে পারি না। তার উপর রাঙ্গুনিয়ার মানুষ যখন বলে আমি তাদের সন্তান, তখন তাদের পিঠ দেখানোর মতো মানুষ আমি না।












