আগেরকার দিনে মুরব্বিরা বলতেন নিজের চোখ অন্ধ হলেও দেশ যেন অন্ধ না হয়। বর্তমানে কোনটা আসল কোনটা নকল চেনা বড় দায়। দৈনন্দিন ব্যবহারের সকল সামগ্রীতে ভেজাল ও ফর্মালিনযুক্ত মনে হয়। অধিক মুনাফা ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার হচ্ছে মানবদেহের জন্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ভেজাল সামগ্রী, যা ব্যবহারের পর মানুষের শরীরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন রোগে বাসা বাঁধে। রোগের অবস্থা অবনতি হলে রোগী কাতরাচ্ছে। হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে লেখা অনুসারে সেই ওষুধ ফার্মেসি থেকে ক্রয় করে রোগীকে সেবন করান তা অধিকাংশই নকল ওষুধ। ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। ওষুধ ক্রয়ের সময় ভোক্তারা কোনটা আসল কোনটা নকল বুঝতে পারে না। প্রকৃত ঔষধ কোম্পানি ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে আরো সচেতনতা বাড়ানো দরকার যাতে করে অসাধুচক্র সেই ওষুধ নকল করতে না পারে। এবং ফার্মেসির দোকানদাররা কোনো অবস্থাতে যেন নকল ওষুধ দোকানে সরবরাহ না করে। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে সকল নকল ওষুধ তৈরি কারখানা রয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে যেন আর কোনো নকল ওষুধ তৈরি কারখানা গড়ে তুলতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। নতুবা উদাসীনতা নীরবে নিভৃতে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত হতে থাকবে।
মোহাম্মদ পারভেজ কাইছার
বন্দর, চট্টগ্রাম।