মানুষের কষ্ট বেড়েছে

তাপদাহ, লোডশেডিং ও পানি সংকট

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৯ মে, ২০২৩ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

তাপদাহের সাথে ক্ষণে ক্ষণে লোডশেডিং। আছে পানির সংকট। এতে চট্টগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে চট্টগ্রামে তাপদাহ বিরাজ করছে। গতকাল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়কার স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এছাড়া গতকাল নগরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও গরমের অনুভূতি ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মরুর দেশের তাপদাহের মতো ভয়ংকর। ভয়াবহ রকমের তাপদাহে দিনভর ছটফট করেছে মানুষ। হাজার হাজার মানুষ একটু প্রশান্তি খোঁজেছে। গতকাল নগরীর প্রায় সর্বত্র ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়েছে। বিদ্যুতের আনাগোনায় মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, কাপ্তাইতে পানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। একই সাথে গ্যাস না থাকায় গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতেও উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত না হওয়ায় চট্টগ্রামে গতকাল ১১শ’ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৪শ’ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। চাহিদার একটি বড় অংশ লোডশেডিং করায় রাতে দিনে বিদ্যুতের জন্য মানুষ হাহাকার করেছে। গ্যাস সংকটের সুরাহা এবং ভারী বৃষ্টিপাত না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে না বলেও সংশ্লিষ্ট একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন।

দাবদাহ এবং লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি নগরবাসীকে পানির জন্যও হাহাকার করতে হচ্ছে। লবণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়াসার পানি উৎপাদন বহুলাংশে কমে গেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার শীর্ষ একজন কর্মকর্তা দৈনিক ১৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমানোর কথা স্বীকার করে বলেছেন, ভারী বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। কাপ্তাই লেক থেকে পানি প্রবাহ না বাড়লে লবণের তীব্রতা কমবে না। এমতাবস্থায় পানির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে না। তবে ওয়াসা ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

পানি উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরবাসী প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছেন না। দোকান থেকে কিনে আনা পানিতে রান্না বান্নার প্রয়োজন কোনো রকমে সারানো হলেও মন ভরে গোসল করতে পারছেন না বহু মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে গা গতরে পানি ঢেলে কিছুটা স্বস্তি খোঁজতে ব্যর্থ মানুষ অবর্ননীয় এক দুর্ভোগে পড়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলে গেলেন সমরেশ মজুমদার
পরবর্তী নিবন্ধকিছু ধারা ও শর্ত সংশোধনের আহ্বান ডব্লিউএসসির