মানি এক্সচেঞ্জে নগদ ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়

| শুক্রবার , ১১ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

খোলা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার দৈনন্দিন লেনদেন শেষে একটি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ নগদ টাকা ও ডলার রাখতে পারবে সেই সীমা ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাবে কত ডলার জমা রাখা যাবে সেটিও বেধে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যবসা পরিচালনার অংশ হিসেবে

বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার জন্য দৈনিক ৫০ লাখ টাকার বেশি নগদ রাখতে পারবে না কোনো মানি একচেঞ্জ কোম্পানি। এর বেশি নগদ টাকা জমা হলে তা কোম্পানির চলতি হিসাবে জমা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে টাকা সংরক্ষণের কোনো সীমা ছিল না মানি চেঞ্জারদের। খবর বিডিনিউজের।
অপরদিকে কোনো মানি চেঞ্জার দিন শেষে নিজেদের কাছে ২৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রাখতে পারবে নগদ আকারে। এর চেয়ে বেশি রাখতে পারবে না। এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকে থাকা তার বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে (এফসি হিসাব) জমা রাখতে হবে। পরে তা প্রয়োজন আকারে তুলতে পারবেন তারা।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল শিকদার বলেন, নগদ টাকা রাখার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়াটি নতুন সিদ্ধান্ত। কিন্তু ২৫ হাজার ডলারের বিষয়টি আগে থেকেই রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১ লাখ ডলার রাখতে পারার অনুমোদন চেয়েছিলাম। অন্তত ৫০ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অনুমোদন দিলে ব্যবসা পরিচালনায় উপকার হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অপরদিকে এফসি হিসাবে কত বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখা যাবে সেই সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে কোনোভাবে ৫০ হাজার ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখা যাবে না। অর্থাৎ এফসি হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখতে পারলেও যেকোনো সময়ে ৫০ হাজার ডলারের বেশি হতে পারবে না। এমন ক্ষেত্রে কোনো মানি চেঞ্জার চাইলে তা ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়া পাচারকালে দুই রোহিঙ্গা উদ্ধার, চার পাচারকারী গ্রেপ্তার