মানবিকতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সুফি দর্শনের গুরুত্ব অপরিসীম

সুফিজম বিষয়ক ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা

| বৃহস্পতিবার , ১ মে, ২০২৫ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিরি)-এর যৌথ আয়োজনে গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সুফি ফিলোসফি ও কালচারাল প্র্যাকটিসেস ফর পারফেক্টেড হিউম্যানিটি শীর্ষক ৭ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। ‘মানবিকতা ও বিশ্বশান্তির জন্য সুফি দর্শনের গুরুত্ব’ এই মূল ধারণাকে সামনে রেখে সম্মেলনে দেশবিদেশের গবেষক, শিল্পী ও শিক্ষাবিদরা অংশ নেন। সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন এবং ডিরির প্রতিষ্ঠাতা হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী। অনু্‌ষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানবিকতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সুফি দর্শনের গুরুত্ব অপরিসীম।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থিয়েটার ও পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। উদ্বোধনী পর্বে মূল প্রবন্ধের উপর আলোচক ছিলেন, চবি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ এবং ঢাবি থিয়েটার ও পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন।

স্বাগত জানান সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহমান মইশান। শুভেচ্ছা বক্তব্যে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজিং ট্রাস্টি শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী সুফি ঐতিহ্যের সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান কাজী তামান্না হক সিগমা। সম্মেলনের সমাপনী পর্বে ফেইথ ইন মোশন : ড্যান্স অ্যান্ড ডিভোশন ইন সুফি প্র্যাকটিস শীর্ষক লেকচারডেমোনস্ট্রেশন উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। সাধনার আর্টিস্টিক ডিরেক্টর লুবনা মারিয়াম দিলনাওয়াজ শিরোনামের সুফি নৃত্য পরিবেশন পরিচালনা করেন, যা রচিত হয় রহমান আরা বেগমের উর্দু সুফি গাথার ওপর ভিত্তি করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘তরুণেরা একটি দেশের নিয়ামক শক্তি’
পরবর্তী নিবন্ধদীপালী ভট্টাচার্য ও সত্যব্রত বড়ুয়া তাঁদের সৃষ্টিকর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন