দেশে দেশে মানবাধিকার সম্পর্কিত নানা বিষয়ে লুম্পেন বুর্জোয়া উন্নত বিশ্বের দেশসমূহের পক্ষ থেকে প্রায়শঃ মানবাধিকার নিয়ে বক্তব্য প্রদান সর্বদা দৃশ্যমান। হিংস্র অর্থলিপ্সু পশুতুল্য লবিস্ট অপসংস্কৃতির মোড়কে ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠান–দলের হীনস্বার্থে মিথ্যা–বানোয়াট–ভিত্তিহীন অভিযোগে মানবাধিকারকে সংজ্ঞায়িত করার অপচেষ্টা অব্যাহত থাকে। শুধুমাত্র অবৈধ–অনৈতিক চাপ প্রয়োগে ব্যতিব্যস্ত এসব কর্তৃত্ববাদী দেশসমূহের প্রধান কাজই হচ্ছে যেকোন জাতিরাষ্ট্রের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা। স্বয়ংসম্পূর্ণ–স্বনির্ভর–আত্মনির্ভরশীল সমাজ রূপান্তরে উন্নয়নশীল–অনুন্নত দেশগুলোর নিরন্তর উন্নয়ন ইচ্ছাশক্তিকে দাবিয়ে রেখে তাদের মতামত চাপানোর জন্য অতিউৎসাহ অবিরাম প্রতিভাত। নিজ দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি বিন্দুমাত্র মনোযোগী না হয়ে শুধু অপর দেশের প্রতি অঙ্গুলি প্রদর্শন এবং অস্বাভাবিক পটপরিবর্তনের মাধ্যমে পছন্দনীয় সরকার গঠনের কুৎসিত পন্থা অবলম্বন কোনভাবেই সভ্য সমাজের সমর্থনপুষ্ট নয়। দেশভেদে প্রত্যেকেরই পবিত্র সংবিধান বা আইনি কাঠামো রয়েছে যার ভিত্তিতে দেশসমূহে জনগণের অধিকার প্রয়োগ–সরকার গঠন বা দেশ পরিচালনায় সর্বসাধারণের ঐকান্তিক আগ্রহ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। সচেতন মহলের মতে, যখনই কোনো দেশে অনগ্রসর থেকে প্রাগ্রসর সমাজে উন্নীত হওয়ার সমুদয় উদ্যোগগুলো পূর্ণতা পেতে থাকে; তখনই এক ধরনের অরাজক পরিস্থিত সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকে টালমাটাল অবস্থায় নিপতিত করার দৃষ্টান্তও নেহায়েত কম নয়।
উন্নয়নশীল বিশ্বের রাজনৈতিক অর্থনীতি পর্যালোনায় এটি সুস্পষ্ট যে, রাষ্ট্রসমূহ করায়ত্ত করে সরকারের ন্যূনতম দুর্বলতাকে মিডিয়া সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিপুল প্রচার একধরনের বশ্যতার হাতিয়ার। বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানাবিধ অবাঞ্চিত–অপাংক্তেয়–অবান্তর বিষয়ে অহেতুক মানবাধিকার লঙ্ঘনের তকমা লাগিয়ে বশীভূত করার জুজুর ভয় অধিকমাত্রায় সঞ্চারিত। সম্পূর্ণ অযৌক্তিক উপায়ে নির্বাচনকেন্দ্রীক বিষয়সমূহের তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা–পর্যবেক্ষণ জনগণকে অধিকার বঞ্চিত করার কুৎসিত ভিত রচনা করে। দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দাতাদেশ–উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে বিভ্রান্ত করার সুপরিকল্পিত অপকৌশল সহজেই অনুমেয়। পরমুখাপেক্ষী কিছু সংখ্যক কথিত বিশিষ্ট ব্যক্তি–পেশাজীবী পরিচয়ে চক্রান্ত–ষড়যন্ত্রের নির্ধারণ–বাস্তবায়নে এদের ভূমিকা সর্বকালে সর্বদেশে প্রশ্নবিদ্ধ। তথাপি আর্থিক সংযোগ অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এসব বিষয়ের প্রতি তাদের তেমন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। বিদেশী অনুচর হিসেবে পরিচয়বহন–মুনাফা লাভে পরনির্ভরশীল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এসব ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই নিন্দিত।
যেকোনো দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন গতিশীলতায় মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি অপরিহার্য। বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ–স্পর্শকাতর ও বহুল চর্চিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভূ–রাজনৈতিক পরিমন্ডলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানবাধিকার ইস্যুর কদর্য ব্যবহার ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে। বিজ্ঞজনদের মতে, কোনো দেশ বা সমাজকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য বা স্বার্থসিদ্ধির ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা সহজ এবং কার্যকরও বটে। মানবাধিকার নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়ানো বিশ্বের কথিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি–নেতারা এর তোয়াক্কা করছে বলে মনে হচ্ছে না। বিভিন্ন পরিবেশে মানবাধিকার ব্যাখ্যার তারতম্যে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের বিপুল উদাহরণে অধিকাংশক্ষেত্রে সমাজ পর্যুদস্ত। আন্তর্জাতিকভাবে কারা কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবাধিকার নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে তার স্বরূপ ইতিমধ্যে সর্বত্রই উন্মোচিত। সত্য–বস্তুনিষ্ঠ মানদন্ডে মানবাধিকার বিষয়টি যথাযথ মূল্যায়ন করা না হলে দেশ–জাতি–বিশ্ব প্রকৃত অর্থেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাসঙ্গিকতায় দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার অব্যবহতির পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠন প্রাক্কালে এদের জঘন্য কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে দেশবাসী সম্যক অবগত আছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে প্রায় সপরিবারে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার কূটপরিকল্পনা এখনো কার্যকর। দেশবিধ্বংসী স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত অন্ধকারের শক্তির যোগসাজশে নির্বাচন বানচাল বা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় অন্তরায় সৃষ্টিতে এদের অপকর্ম থেমে নেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কদর্য পরাশক্তির অযাচিত মন্তব্য–হস্তক্ষেপ দেশবাসীকে যারপরনাই মর্মাহত করে চলছে।
ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশে চরম নৃশংসতার আবরণে নারী–পুরুষ নির্বিশেষে শিশু–কিশোর–যুবক–বৃদ্ধদের হত্যা–গণহত্যার মাধ্যমে আরব বিশ্বের সম্পদ লুন্ঠনে ক্ষমতাধর শক্তির আগ্রাসী মহোৎসব প্রতিনিয়ত বিবেকবান মানুষকে হতবাক করছে। এসব সহিংস–নিষ্ঠুর–নির্দয় কর্মযজ্ঞের বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রতিবাদ প্রকাশ পেয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট নজীর নেই বলেই প্রবল জনশ্রুতি রয়েছে। বিশ্বের গণতন্ত্র–শান্তি–মানবতার ফেরিওয়ালারা উল্লেখ্য অনুষঙ্গ প্রতিষ্ঠায় কোথায় কোন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তা জানতে জনগণের কৌতূহলও অফুরন্ত। উন্নত বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশে মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত–সামাজিক–রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক–ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিতকল্পে গৃহীত মানবাধিকার ঘোষণাটি কালের বিবর্তনে আজ বিশ্বব্যাপী প্রচণ্ড হুমকির সম্মুখীন। মানবাধিকার আজ মুখরোচক কথামালায় পরিণত। ক্ষমতালিপ্সু কতিপয় দানবরূপী মানুষ আধিপত্য বিস্তারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালাচ্ছে পরিকল্পিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন। মানবাধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার পশ্চিমা দেশসমূহ আরববিশ্বসহ এশিয়া–আফ্রিকার দেশসমূহে অবর্ণনীয় বর্বরতা তৈরি করছে। জাতিগত বৈষম্য–বিরোধ–বিচ্ছেদ–সহিংসতার আচ্ছাদনে লাখ লাখ নাগরিকের ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের অসহনীয় কাতরতার দোলাচলে ঘুরপাক খাচ্ছে মানবতা। বিশ্বময় মানবতার কথিত সুরক্ষাকারীরা সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার হরণে ব্যতিব্যস্ত–লিপ্ত রয়েছে।
ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে মানবাধিকার পরিস্থিতি আজ চরমভাবে বিপর্যস্ত। ১৯৪৮ সাল থেকে বহু ফিলিস্তিনিরা দেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়নের মুখে স্বাভাবিক জীবনধারণের অধিকার বঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রে উদ্বাস্তু হয়েছে। দেশে অবস্থানকারী ফিলিস্তিনিরা প্রায়শ আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার শিকার। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের জঘন্য অবরোধের কারণে অবকাঠামো ধ্বংসসহ গাজার মানুষ অতি প্রয়োজনীয় সেবা ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। পশ্চিমা রাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতির জন্য অদ্যাবধি ইসরায়েল–ফিলিস্তিন পরিস্থিতির উন্নতি দৃশ্যমান নয়। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। হামলা থেকে রক্ষা পায়নি জাতিসংঘ ভবনও। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এর অংশ হিসেবে গাজায় ২৩ লাখ মানুষের খাবার, পানি–বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। ৮ অক্টোবর রাতে জাতিসংঘের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৪ হাজার মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিনের অভিযোগ, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহার করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এতটা অনৈতিক–বর্বর–বেপরোয়া শক্তি প্রয়োগের পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে আমেরিকার ঘৃণ্য ভূমিকা রয়েছে। ইসরায়েলকে অত্যাধুনিক সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমেরিকা বছরের পর বছর সাহায্য করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার বৈদেশিক সাহায্যের সবচেয়ে বড় অংশ পেয়ে আসছে ইসরায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ইসরায়েলের অনেক অপরাধ দেখেও না দেখার ভান করে আসছে। ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র বহুবার আলোচনার নাটক মঞ্চস্থ করলেও; পক্ষপাতিত্বের কারণে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাদের অস্ত্র–অর্থ–সর্বাত্মক সহায়তায় দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণের উপর দশকের পর দশক ধরে চরম নির্যাতন–নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। নিজেদের স্বার্থোদ্ধারে বরাবরের মতো এবারও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে গিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ন্যাটো। আরব বিশ্বসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের নানান প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সমর্থনে রণতরী পাঠিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্রমতে বাংলাদেশে ইসরায়েলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের শীর্ষ ব্যক্তি মেন্দি এন সাফাদির সাথে কথিত দেশবিরোধী গণতন্ত্র নামধারী সামরিক জান্তা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ফ্ল্যাটফর্মের বশংবদ শীর্ষ নেতাদের কুচক্র বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার গভীর ষড়যন্ত্র ইতিমধ্যেই বহুল প্রচারিত। বর্তমান সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী পক্ষের ক্ষমতা আরোহণে ইসরায়েলিদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে এজেন্ডা বাস্তবায়ন ছিল মূখ্য উদ্দেশ্য। চলমান পরিস্থিতিতে এসব প্রতারক ধর্মব্যবসায়ীদের ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থানকে কতটুকু সুস্পষ্ট করছে; তাদের নীরবতাই এর প্রকৃষ্ট ধারণা সহজেই অনুমেয়। পক্ষান্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মতই তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার এবং দেশপ্রেমিক–ধার্মিক–অসাম্প্রদায়িক আপামর জনগোষ্ঠীর বলিষ্ঠ উচ্চারণ ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আল আকসা মসজিদ সুরক্ষায় সর্বদাই সমর্থিত ছিল, আছে এবং থাকবেই।
৮ অক্টোবর ২০২৩ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের নিন্দা জানিয়ে দুপক্ষের হামলায় নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং নিরাপরাধ প্রাণহানি এড়ানোর জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিন ভূখন্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না। বাংলাদেশ ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে জাতিসংঘের রেজুলেশন ২৪২ ও ৩৩৮ অনুসরণ করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি বসবাসের সমর্থন করে যা এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে। অতিসম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার অর্জনের পথ এখনও আশার মুখ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে সমালোচনা করেন। তিনি ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাসহ বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সার্বিক পর্যালোচনায় এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশ বরাবরই নিগৃহীত–নিপীড়িত–নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে থেকে সবাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেই।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়