মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে কোন দেশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়ে প্রতিবারের মতো এবছরও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর। এতে ভারত ও পাকিস্তানকে এক কাতারেই রেখেছে তারা। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ‘ন্যূনতম’ ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। আর পাকিস্তান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ‘কদাচিৎ’ ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত এই প্রতিবেদন আগের বছরের তুলনায় অনেক ছোট এবং সমালোচনার মাত্রাও কমানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মিত্র ও অংশীদার দেশগুলোর ক্ষেত্রে এবার সমালোচনার ভাষা নরম করেছে। খবর বিডিনিউজের।
চীনের উত্থান মোকাবেলায় সমপ্রতি কয়েকবছরে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ হয়ে উঠেছে। যদিও কিছুদিন আগে ভারতীয় পণ্যে ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। ওদিকে, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নেটো বহির্ভূত একটি মিত্র দেশ। মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকে নিয়েই এবার প্রায় একই দাবি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা’ নিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘কদাচিৎ বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা’ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলীর উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের ভারত ও পাকিস্তান দূতাবাস তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি। ভারতে মানবাধিকার নিয়ে একাধিক উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। মণিপুরে অশান্তি, জম্মু–কাশ্মীরে সন্ত্রাস, মাওবাদী তৎপরতা, পুলিশের এনকাউন্টার, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ–সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন ঘটেনি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার কথাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।