হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া বলেছেন, মানবাধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। যে ব্যক্তি এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তিনিই বুঝতে পারেন যে, জীবন থেকে তিনি কী হারিয়েছেন। দেশে কঠোর আইন থাকলেও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমছে না। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে রিট করার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের আরো সতর্ক হতে হবে।
তিনি গতকাল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪র্থ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। বক্তৃতায় সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতার উপর জোর দিয়ে বিচার বহির্ভূত হত্যা, খুন, গুম প্রতিরোধকল্পে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৪ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) জান্নাতুল ফেরদৌস। আরো বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, বার কাউন্সিলের সদস্য বদরুল আনোয়ার, জেলা পিপি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সিএমপির প্রতিনিধি জি এম মাজহারুল ইসলাম, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভিসি নাজিম উদ্দিন, ডা. শফিউল আলম, বিজেএমই‘র মাহবুবুর রহমান, ডিজি রেজাউল করিম, সাংবাদিক শাহ নেওয়াজ, সাংবাদিক এ কে এম মকসুদ আহমেদ, এড. সুলতানা আক্তার রুমি, বিভাগীয় পরিচালক (সমাজকল্যাণ) কাজী নজিবুর রহমান প্রমুখ ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা ইঞ্চি ভূমি আমার। এ দেশের প্রতিটা মানুষ আমার দেশের নাগরিক। এই বোধ থেকে আমি বাংলাদেশী। আমরা জানি, এ দেশে মানবাধিকার কর্মী হিসাবে কী নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয় প্রতিদিন। যেখানে মিথ্যা মামলা হয়, যেখানে গায়েবি মামলা হয়, যেখানে খুন হয়, গুম হয়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিদ্যমান থাকে, যেখানে মানুষের কণ্ঠরুদ্ধ হয়, কার্টুনিস্ট কার্টুন আঁকলে তাকে কারাগারে মৃত্যুবরণ করতে হয়, যে দেশে সাংবাদিকের কলম রুদ্ধ করতে হয়, সাংবাদিকের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইন জারি হয়, যে দেশে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়, মামলার শিকার হয়, সে দেশে মানবাধিকারকর্মীর মানবাধিকার পালন করতে গেলে কতটা কঠিন পথ অতিক্রম করতে হয় তা সহজে অনুমেয়। আমিও সেই পথ পার হয়ে এসেছি। আমি যেখানেই থাকি না কেন, আমি বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকি না কেন, আমি যে পদেই থাকি না কেন, আমার রক্তে মানবাধিকার মিশে আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে আপিল বিভাগে মামলা ফাইলিংয়ের সংখ্যা কমে গেছে। কারণ আগে যে কোনো জামিনই আপিল বিভাগে স্থগিত করা হতো। আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধুমাত্র মামলা বাড়ানোর জন্য যাতে আপিল বিভাগে না যায়। আমরা যাব, যেটা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, যেটা আইনের প্রয়োজনে, যেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে প্রয়োজন হয় শুধু সেটার জন্য যাব। এটি আমরা মানবাধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে করেছি। একজন মানুষকে আমরা কতদিন কারাগারে বন্দি রাখব? সেটি আমাদের মগজে প্রতিনিয়ত কাজ করে। নিজের মানবাধিকার রক্ষার জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকবেন। আপনার বেঁচে থাকার অধিকার, আইনের আশ্রয় পাবার অধিকার, কথা বলার অধিকার, আপনার বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার, চলাফেরার অধিকার, ন্যায় বিচার পাবার অধিকার আপনার মৌলিক অধিকার। কিন্তু ভোটাধিকার আপনার মৌলিক অধিকার না। ভোটাধিকার আপনার সাংবিধানিক অধিকার। মৌলিক অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার একে অপরের সাথে জড়িত। আপনি আপনার ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারেননি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে ৫৩ বছর পরেও ভোটাধিকার নিয়ে চিন্তা করতে হয়, সে দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য রক্ত ঝরাতে হয়, জীবন দিতে হয়, কণ্ঠ রুদ্ধ থাকে, কলম বন্ধ হয়ে যায়। কারণ কী? হয়তো আমাদের রক্তে মিশে আছে প্রজার কোন একটা জীবাণু। যেটা আমাদের দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক মহোদয় তার বক্তব্যে বলে গেছেন, প্রজাতন্ত্র! আমরা কী তাহলে প্রজার মানসিকতা নিয়েই বেঁচে আছি? আমরা কী তাহলে নতজানুভাবেই এভাবে বেঁচে থাকতে চাই? আমরা কী উত্তর পুরুষের কাছে ভীরু কাপুরুষের উপমা হয়ে থাকতে চাই? আমরা দেখেছি, সংবিধানের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে কিভাবে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। অন্যদিকে দিনের ভোট রাতের আঁধারে ব্যালট ভর্তি করা হয়েছে। আরেকদিকে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রের নামে যা ইচ্ছা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে নির্বাচনের নামে খেলা করেছি। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র–জনতা আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করা অনেক কঠিন, সে দায়িত্ব অনেক বন্ধুর। আমরা সে দায়িত্ব প্রতিনিয়ত কাঁধে নিয়ে আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থনে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তরের চেষ্টা করছি। আমাদের স্বপ্ন ও ৭১ এর শহীদের স্বপ্ন আজ এক জায়গায় দাড়িয়েছে। তিনি বলেন, আপনাদের চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পুরো বাংলাদেশ আজ এক কাতারে দাড়িয়েছে। শুধু নেই কারা? যারা গণতন্ত্রের নামে মানুষ হত্যা করেছে, গুম করেছে, মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, ন্যায় বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছে, বিচারের নামে প্রহসন করেছে, তারা এক কাতারে নাই। তিনি বলেন, আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিনে সবাই বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে যায়, আজকে সেখানে সবাই ছিলেন, শুধু একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা ছিলেন না। কী এমন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন? যে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে আপনারা যাননি? আপনারা শুনলে আপনাদের গায়ের লোম শিউরে উঠবে। সেটি হচ্ছে– শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধের পেছনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কবরস্থান হয়েছে। সেই কবরস্থানের একেকটি কবরে ৭০ থেকে ৮০টি লাশ দাফন করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবে। আমরা সে রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বাংলাদেশের রাজপথে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে থাকব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনেপ্রাণে অসাম্প্রদায়িক। বাংলাদেশের মানুষ সাংস্কৃতিকভাবে মনে করে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ভারতে যখন বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়, তখন আমাদের এখানে মন্দির পাহারা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে আমাদের একজন প্রিয় সহকর্মী আলিফকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারা করেছে সেটি আমরা সবাই জানি। কারা জড়িত কী কারণে করা হয়েছে আমরা জানি। আমরা এ ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি ঘটিয়েছি। প্রকৃত অপরাধীরা সামনে আসবে এবং তাদের উদ্দেশ্যও সামনে আসবে। আমরা বলতে চাই, আমরা সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাব, যেখানে ন্যায়বিচার, বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ব্যক্তির স্বাধীনতা রক্ষা করে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবেন। আপনারা সমাজের দর্পন।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশের বাংলা করা হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। এখানে প্রজা শব্দটা কোথা থেকে আসল? আমার মনে হয় প্রজাটা রাখা হল এই জন্য যে, যারা সরকারে যাবেন তারা আমাদের প্রজা হিসেবেই দেখবেন। এই প্রজা শব্দটা না থাকলে আমাদের জন্য ভালো। আপনারা বিষয়টি দেখবেন। তিনি বলেন, বিএইচআরএফ ১৫ বছর ধরে অনেক অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। অনেক নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত মানুষকে অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে, আশাহত মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। আপনাদের এ অভিযাত্রায় শুরু থেকে দৈনিক আজাদী আপনাদের সাথে ছিল, পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি বলেন, বহু আগে আমেরিকার এক আইনজীবী ক্লারেন্স ড্যারো বলেছিলেন, ইউ ক্যান অনলি প্রটেক্ট ইউর লিবার্টিস ইন দিস ওয়ার্ল্ড বাই প্রটেক্টিং দ্যা আদার মেন’স ফ্রিডম। ইউ ক্যান অনলি বি ফ্রি ইফ আই এম ফ্রি। কিন্তু কথাটি আমরা প্রায় সময় ভুলে যাই। আমরা অনেকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিই। এভাবেই সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়, বৈষম্য আসে। এই বৈষম্য থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে কত শত অকুতোভয় ছাত্র জনতাকে প্রাণ উৎসর্গ করতে হলো, কতজনকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হলো। আমি এই তরুণ বীরদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা যেন কখনো ভুলে না যাই, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আমাদের কথা বলার অধিকার অর্জনের জন্য, একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানের জন্য তাদের আত্মত্যাগের কাহিনি।
মাদার তেরেসার ‘পিস বিগিন্স উইথ এ স্মাইল’ কথাটির উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সকলের স্বপ্ন একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী। একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ। এর জন্য দরকার মানবাধিকার, মানুষের মর্যাদা। তাই প্রতিটি মানুষের নিজের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অন্যের অধিকার সমুন্নত রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, ইউজ ইউর স্মাইল টু চেইঞ্জ দ্যা ওয়ার্ল্ড, বাট ডোন্ট লেট দ্যা ওয়াল্ড চেইঞ্জ ইউর স্মাইল। প্রেস কাউন্সিল বিষয়েও বক্তব্য রাখেন এম এ মালেক। তিনি বলেন, কোনো সংবাদ নিয়ে পত্রিকা বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে আগে প্রেস কাউন্সিলে যেতে হবে। সেখানে সুরাহা না হলে বা তিনি সন্তুষ্ট না হলে তখনি কেবল তিনি আদালতে মামলা করতে পারেন। কিন্তু দেখা যায়, প্রেস কাউন্সিলে কেউ যান না, আগেই মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, এমনটা হলে প্রেস কাউন্সিলের আর প্রয়োজন কী? অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে এম এ মালেক বলেন, বিষয়টি আশা করছি আপনারা দেখবেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৪ এর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, হাত পা থাকলে মানুষ হয় না, মানুষ হতে হলে বিবেক থাকতে হব, থাকতে হবে শুদ্ধাচার । অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সততা না থাকলে সব ক্ষেত্রে হতাশা ছড়িয়ে পড়বে। বিএইচআরএফ চেয়ারপারসন এডভোকেট এলিনা খান বলেন, আমাদের প্রত্যেককে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের প্রতি সৎ ও সচেতন থাকতে হবে, সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। আত্মমানবতার সেবায় কাজ করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা করে যেতে হবে। যেখানেই মানবাধিকার লংঘন সেখানেই এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে।
সংগঠনের মহাসচিব জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ভবিষ্যতে যারা মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখবে তাদেরকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে । তিনি স্লাইড শোর মাধ্যমে সবার সামনে বাংলাদেশ ও বিশ্বে আলোচিত ঘটনাগুলির ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন। এর আগে বেলুন ও কবুতর উঠিয়ে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উত্তরা শাখাকে সংগঠনের শ্রেষ্ট শাখা বির্বাচিত হয়। আইন পেশায় ৫১ বছর পুর্তিতে এড. এ কে এম মোহসেন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে যারা জীবনবাজি রেখে কাজ করেছেন তাদেরকে যথাক্রমে এড. সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার, এড. এএইচএম জসিম উদ্দিন, এড. আবুল খায়ের, এড. জান্নাতুল নাইম রুমানা, এড. পরেশ চন্দ্র দাস, এড. মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, এড. মো. হাসান আলী, এড. রুমানা ইয়াসমিন সোমা, এড. গোলাম মাওলা মুরাদ, এড. এইচ এস সোহরাওয়ার্দী, এড. মোহাম্মদ বদরুল হাসান, এড. খুশনুদ রাইসা উশিকা, এড. কে এম. শান্তনু চৌধুরী, এড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন (আরমান), এড. টুম্পা আইচ, মোবারেক আহমেদ, হাসান আল বান্না, এড. আংশু আসিফ পিয়াল, আবুল মোবারক, এড. ফাতিমা জাহরা আহসান রাইসা, আহসান হাবিব (বাবু), মো. আশরাফুল হক জীবন, মাহমুদুর রহমান শাওন, নজরুল হোসেন (শুকরিয়া), এরশাদ আলম ও মো. রাজীব হোসেন রিফাতকে সম্মাননা সার্টিফিকেট দিয়ে তাদের কর্মকে মূল্যায়ন করা হয়।